টিআইবির রিপোর্ট একপেশে ও উদ্দেশ্যমূলক : তথ্যমন্ত্রী

    দশম সংসদের প্রথম থেকে শেষ অধিবেশন (২৩টি) পর্যন্ত কোরাম সংকটের কারণে ১৯৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিট অপচয় হয়েছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে ভুল রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে তৃণমূল বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি (তৃণমূল বিএনপি) আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বুধবার টিআইবি দশম জাতীয় সংসদের কার্যক্রম নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এ রিপোর্টে যে তথ্য-উপাত্ত দেয়া হয়েছে, সেখানে অনেক ভুল রয়েছে। এ রিপোর্টটি একপেশে ও উদ্দেশ্যমূলক।

    টিআইবি উদ্দেশ্যমূলক রিপোর্ট প্রকাশ করে অভিযোগ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা অতীতেও দেখেছি টিআইবি উদ্দেশ্যমূলক রিপোর্ট প্রকাশ করে। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ যখন শুরু করা হয়, তখন দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক তদন্ত করছিল আর টিআইবি বিশ্বব্যাংকের এক ধাপ ওপরে গিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে, এদের (পদ্মা সেতু নির্মাণকাজে জড়িত) বিচার হওয়া উচিত।

    অথচ বিশ্বব্যাংক যে অভিযোগ করেছিল, সেটি যে মিথ্যা ও বানোয়াট তা কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। এর পর টিআইবির উচিত ছিল তাদের বক্তব্যের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। কিন্তু তারা তা করেনি।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সমালোচনা চাই। সমালোচনা সঠিক কাজ করতে সহায়তা করে, কিন্তু আমরা একপেশে সমালোচনা চাই না। যার দ্বারা জাতি বিভ্রান্ত হবে। গণতন্ত্র ধূলিসাৎ হবে। আমি আশা করব, টিআইবি সঠিক তথ্য প্রকাশ করবে। তাদের ভুল তথ্যর জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে।

    তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয় জোট বিএনএফের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান কেএ জাহাঙ্গীর মজুমদার, বিএনএ মহাসচিব মেজর (অব.) হাবিবুর রহমান, তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ব্যারিস্টার আকবর আমিন বাবুল প্রমুখ।

    প্রসঙ্গতবুধবার ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে টিআইবি জানিয়েছে, দশম সংসদের প্রথম থেকে শেষ অধিবেশন (২৩টি) পর্যন্ত কোরাম সংকটের কারণে ১৯৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিট অপচয় হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৬৪ কোটি (১৬৩ কোটি ৫৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৩) টাকা।

    ২০১৪ সালের জানুয়ারির প্রথম থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

    এতে জাতীয় সংসদ ও সংসদীয় কমিটিকে কার্যকর করতে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন ও সংসদ সদস্য আচরণ আইন প্রণয়নসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করা হয়।

    বিএম/এমআর