২৪ ঘন্টায় নতুন করে শনাক্ত ৩৯
    ডেঙ্গু : চট্টগ্রামে আক্রান্ত ৩৮৭, চমেকে ভর্তি ৯৩

    চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৩৯ জন। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন, এবং বাকীরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    আজ মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে ক্ষুদে বার্তায় ডা. হায়দার জানিয়েছেন গত ২৪ ঘন্টায় চমেক হাসপাতাল ছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে।

    এর মধ্যে আগ্রামবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২ জন, বিআইটিআইডিতে ২ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১ জন, ন্যাশনাল হাসপাতালে ২ জন, ম্যাক্স হাসপাতালে ১ জন, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৩ জন, একুশে হাসপাতালে ১ জন এবং উপজেলার লোহাগাড়া হাসপাতালে ১জনসহ মোট ১৩ জন রোগী নতুন করে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৬৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন জানিয়ে জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে বলা হয় জানুয়ারি থেকে ৬ আগষ্ট পর্যন্ত বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১৬৪ জন ভর্তি হয়েছে।

    এদিকে বর্তমানে চমেক হাসপাতালে ৯৩ জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

    ডেঙ্গুর প্রার্দুভাব দেখা যাওয়ার পর থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট ৩৮৭ জন আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

    চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ডেঙ্গুর প্রার্দুভাব দেখা যাওয়ার পর থেকে চমেকে মোট ২২৩ জন রোগী বিভিন্ন সময়ে ভর্তি হলেও চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১শ ৩০ জন রোগী। এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরো ৯৩ জন রোগী।

    চমেকে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের কারো অবস্থা আশংকাজনক নয় জানিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারি রেজিস্টার্ড ডা. ঈমন বলেন, চমেকে ৬ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৯৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে পুরুষ রোগীর সংখ্যাই বেশি। পুরুষ রোগীর সংখ্যা ৬৯ এবং নারী রোগীর সংখ্যা ২৪ জন।

    তিনি এ হাসপাতালে এখন পর্যন্ত কোন রোগী ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেননি উল্লেখ করে বলেন, সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করলেও খুব একটা আশংকাজনক রোগী এখনো চমেক হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেকটা কমে এসেছে। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ মন্তব্য করে সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এ চিকিৎসক।

    হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতে ১৩ নং ওয়ার্ডে আলাদাভাবে শুধুমাত্র ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে তিনটি ব্লকে ৬০টি শয্যা নিয়ে আলাদা ওয়ার্ড করা হলেও বর্তমানে তা শত শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগের আতংক ছড়ানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ২শ ৩০ জনের মতো রোগী ভর্তি হলেও তার অধিকাংশই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা নিশ্চিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন। তাছাড়া বিনামূল্যে ডেঙ্গ শনাক্তকরণ পরীক্ষাও এ হাসপাতালে অব্যাহত রেখেছেন দাবী এ কর্মকর্তার।

    বিএম/রাজীব সেন..