ফটিকছড়িতে ব্যস্ত কামার পাড়া

    ফটিকছড়িতে ব্যস্ত কামার পাড়া

    এম.জুনায়েদ, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফটিকছড়ি উপজেলার কামার পাড়ার কামার শিল্পীরা। দিন-রাত সমান তালে তারা এখন হাঁসুয়া, ছুরি, দা, চাকু, বটি, কুড়াল ও কাটারি তৈরি এবং শান দেয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

    কুরবানি ঈদ যতই ঘুনিয়ে আসছে ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন কামার ও ক্রেতারা। ক্রেতারা তাদের পছন্দের হাঁসুয়া, ছুরি, দা, চাকু, বটি, কুড়াল ও কাটারি, গোস্ত কাটার জন্য গাছের গুলের টুকরো কেনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে বিগত সময়ের তুলনায় এসব সরঞ্জামাদির দাম একটু বেড়ে গেলেও ক্রেতারা তা হাসিমুখে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রাদী ক্রয় করছেন।

    উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। কামারের দোকানে শোনা যাচ্ছে ‘টুং-টুং শব্দ। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত লোহা পিটিয়ে টুং টুং শব্দে চলছে এসব ধারালো সামগ্রী তৈরির কাজ। অনেকের হাতে বেশি অর্ডার থাকায় নতুন কোনো অর্ডার নিচ্ছেন না তারা।

    সারা বছর কাজ না থাকলেও কুরবানির ঈদের এ সময়টা বারবারই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতে লোকজন ভিড় করছেন তাদের দোকানে। দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন পশু জবাইয়ের উপকরণ।

    সরজমিনে উপজেলার বিবিরহাট হাট, নাজিরহাট, কাজির হাট, নানুপুর, আজাদী বাজারে গিয়ে দেখা যায় কামারা কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন এসব ধারালো সামগ্রী।

    তবে এসব তৈরিতে এখনো আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। পুরানো সেকালের নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ে লোহা হতে ধারালো কর্তন সামগ্রী তৈরির কাজ।

    কামাররা জানায়, এ পেশায় অধিক শ্রম জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হলেও শুধু বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ পেশাটিকে তারা এখনও আঁকড়ে ধরে আছেন। বিভিন্ন সময় এসবের চাহিদা কম থাকলেও কুরবানির পশুর জন্য বেশি প্রয়োজন হওয়ায় সকলেই এখন ছুটছেন কামারদের কাছে। আর এতেই এক মাসে পেশাটি জমজমাট হয়ে উঠেছে।

    বর্তমানে ছোট ছুরি থেকে শুরু করে বড় ছুরিতে শান দেয়ার জন্য ৪০ টাকা থেকে শুরু করে কাজের গুণাগুণের ওপর ভিত্তি করে ৭০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি দা বিক্রি হচ্ছে ৩০০, হাঁসুয়া ১৫০, ছোট ছুরি ৫০, বটি ২০০, কাটারি ২৫০-৩০০ টাকা করে।

    বিএম/রাজীব..