বিএনপির ঘোর অমানিশা চলছে : কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির রাজনীতিতে ঘোর অমানিশা চলছে, তাই তারা আজ দিশেহারা পথিকের মত যেখানে যা খুশি তাই বলছে।

    মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুব মহিলা লীগের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

    ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি প্রধানমন্ত্রীকেও অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, যা রাজনীতির বা গণতন্ত্রের ভাষা নয়।

    তিনি বলেন,১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তার ছেলে তারেক রহমান।

    দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে উল্লেখ করে সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমি নয় । তারা নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে পরবাসী হয়েছে।

    রোহিঙ্গাদের নিয়ে যারা খেলতে চায় সময় মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সব বিষয়ই আমাদের নলেজে আছে, রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য আমরা দিয়ে যাচ্ছি, আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছি। তাদেরকে নিয়ে যারা খেলতে চায় তাদের ব্যপারেও আমাদের কাছে তথ্য আছে। সময় মত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লা কিভাবে বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন পার হয়ে ইউএসএ গিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্পের কাছে গিয়ে আবার একই ইমিগ্রেশন পার হয়ে আবার দুদিন আগের সমাবেশে যোগ দিয়েছেন, এই বিষয়টিকে সরকার কিভাবে দেখছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের তার জবাব দেন।

    রোহিঙ্গারা কিভাবে মোবাইল পেল, এমন কি তারা একই রঙ্গের টি শার্ট কোথা থেকে সংগ্রহ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আছে এখানে সমস্যা আছে, এখানে বিদেশ থেকেও মদদ আছে বাংলাদেশেও একটা মতলবী মহল আছে। যারা আন্দোলন সংগ্রাম নির্বাচনে ব্যর্থ, তাদের এখন ষড়যন্ত ছাড়া আর কোনো পথ নেই।

    আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এই সব আন্দোলনকে পুঁজি করে তারা অতীতে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করেছে। এখন তারা রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে বেছে নিয়ে এটাকে ক্ষমতায় যাওয়ার ফায়দা লোটা যায় কিনা সেটা সেটা তাদের মাথায়।

    রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যপারে আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমাগত বাড়ছে বলেও দাবি করেন সরকারের এই মন্ত্রী।

    তিনি বলেন, মিয়ানমারও বন্ধুহীন দেশ এ কথা ভাবার সুযোগ নেই। তাদেরও বন্ধু আছে তাদেরও মিত্র আছে। কাজেই তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যপারে যেমন অনাগ্রহ আছে, তেমনি আন্তর্জাতিক ভাবে তাদের উপর চাপও কিন্তু ক্রমাগত বাড়ছে।

    কাদের বলেন, সাফল্য এখানে যে পৃথিবীতে কোন দেশ রোহিঙ্গাদের এতো উদাররা দেখায়নি, সীমান্ত খুলে দিয়ে আশ্রয় দেয়নি। যেটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ বিশ্বকে দেখিয়েছে। মানবতা উদারতার দোয়ার খুলে দিয়েছে। বিএনপি ছাড়া বিশ্বের কোন দেশই এখানে শেখ হাসিনা সরকারের ব্যর্থতা আছে বা কোন দোষ আছে, কোন দুর্বলতা আছে, এমনটা কেউ বলে নি। সারা বিশ্ব প্রসংসা করছে। প্রসংসা তারাই করতে কুন্ঠিত যারা রোহিঙ্গাদের সমস্যা থেকে ফায়দা তুলতে এ যাবত ব্যর্থ।

    রংপুরে এরশাদের আসনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পর্টিকে ছাড় দিবে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এ পর্যন্ত কোনো উপ নির্বাচনে কাউকে ছাড় দেই নি। যার যার নির্বাচন তাদের দলীয় প্রতীকে করবে, জাতীয় পার্টি তাদের প্রার্থিতা দেবে। আওয়ামী লীগও প্রার্থিতা এখানে রাখবে।

    তিনি বলেন, এখানে ছাড় দেয়ার কোন বিষয় নেই। আমরা সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রতিদন্দ্বিতা করবে জাতীয় পার্টির এরশাদের আসনে। এখানে ছাড় দেওয়া বা ভাগাভাগি করার কোনো বিষয় নেই। প্রতিদন্দ্বিতা করার সুযোগ সবার আছে, আমরাও সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি।

    বিএম/এমআর