ডেঙ্গু পরীক্ষার বেশি ফি আদায়
    রাউজানে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে তালা

    রাউজান প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানের জলিল নগরের ইনটেনসিভ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু রোগ সনাক্তের পরিক্ষার স্থলে অন্য পরিক্ষা করা ও ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের পরিক্ষার ফি বেশি নেওয়ার অভিযোগে তালা লাগিয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    গতকাল বুধবার (৭-আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে জলিল নগর বাস স্টেশনস্থ এম.কাদের মার্কেটের এ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রাউজান থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এহসান মুরাদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আর.এম.ও) মোস্তাফা নুর মোরশেদ।

    জানা যায়, রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগের অফিস সহায়ক ও পূর্বগুজরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুজন দাশের কয়েকদিন ধরে জ্বর থাকায় রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিলে ডেঙ্গু সনাক্তের জন্য পরিক্ষা দেন। সেখানে পরিক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় গত মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জলিল নগর ইনটেনসিভ ডায়গনাষ্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু পরিক্ষা করান। ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের জন্য যে পরিক্ষা দেয়া হয়েছে সে পরিক্ষার সাথে রিপোর্টের কোন মিল নেই।

    এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক অভিযান পরিচালনার সময় কয়েকজন ডাক্তার ও কর্মচারি ছাড়া মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।

    ডায়গনাষ্টিক সেন্টারের স্টাফরা জানিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের মালিক জনৈক দিদারুল আলম। পরে ডায়াগনাষ্টিক সেন্টার থেকে ডাক্তার ও অন্যান্য স্টাফদের রেব করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

    রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আর.এম.ও) মোস্তাফা নুর মোরশেদ বলেন, ডেঙ্গু নির্ণয়ের জন্য পরিক্ষার ফি নির্ধারিত হচ্ছে ৫’শ টাকা। এখানে নেওয়া হয়েছে ৮’শ টাকা। ওদের রিপোর্টের সাথে পরিক্ষার কোন মিল নেই।

    এই প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এহসান মুরাদ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা ডায়গনাষ্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দিয়েছি। একই সাথে অর্থদণ্ডে দন্ডিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    বিএম/এ হামজা/আরএস..