রাজশাহীতে পুলিশের ওপর হামলা, অস্ত্রসহ আটক ৩

    রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকা থেকে ধারালো ছুরি ও পিস্তলসহ তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, গ্রেফতারি এড়াতে পালানোর উদ্দেশ্যে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

    বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর কাদিরগঞ্জ সংলগ্ন সান-ডায়াল কোচিং সেন্টারের পাশে ঘটনাটি ঘটে।

    এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার হারয়া রনজিৎ হালদারের ছেলে অভিজিৎ হালদার রিংকু (২২)। রিংকু রাজশাহী কলেজের বিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া নগরীর কয়েরদাড়া এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে আমির হোসেন (১৬)। আমির নওহাটা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। জেলার গোদাগাড়ীর মান্তইল এলাকার এমাজ উদ্দিনের ছেলে মোবারফ হোসেন (১৭)। মোসারফ সপুরা ভোকেশনালের দশম শ্রেণির ছাত্র।

    মহানগরীর শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মাইনুল জানান, বেলা ১১ টার দিকে ওই তিন যুবক রিকশা যোগে নগরীর সাহেব বাজার এর দিকে যাচ্ছিলো। এসময় আমি ও আমার ফোর্স সেখানে দায়িত্বরত ছিলাম। প্রাথমিকভাবে তাদের দেখে সন্দেহ হলে রিকশা থামিয়ে দেহতল্লাশী করা হয়। তাদের কাছে একটি ছুরি পাওয়া যায়। ছুরি কেন রেখেছে জিজ্ঞাসা করা মাত্র তাদের একজন আমাকে আঘাত করে। এতে আমার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়।

    তিনি আরো জানান, ওই যুবকরা পালানোর চেষ্টা করলে আমার সাথে ডিউটিরত কন্সটেবলগন তাদের জাপটে ধরে আটক করে। পুনরায় দেহ তল্লাশী করে তাদের কাছে আরও একটি পিস্তল ও ম্যাগাজিনসহ ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের বোয়ালিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।

    এবিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি যে আটককৃতরা ছিনতাইকারী দলের সংঘবদ্ধ সদস্য। তাদের সাথে আরো কারা কারা জড়িত আছে এবং আরোও অস্ত্র-সস্ত্র আছে কিনা তা জিঙ্গাসাবাদ করা হবে। তারা অস্ত্র নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল সে বিষয়েও জিঙ্গাসাবাদ করা হচ্ছে।

    জিঙ্গাসাবাদ শেষ হলে তাদের ওপর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ।

    বিএম/এমআর