স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসায় ঢুকতে না দেয়া দুঃখজনক

    ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘মশক নিধন কার্যক্রমে আমরা আশা করব সবাই আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবেন। কিন্তু গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসায় মশক নিধন টিমের ঢুকতে না পারা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা কিন্তু সবাই সমান, সবাই নাগরিক। গতকাল, আজও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চেষ্টা করেছি। আমি উনাকে বলতে চাই, যেকোনো কাজে আমরা সবার সহযোগিতা চাই।’

    বুধবার দুপুরে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে আসলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

    আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সবাই সচেতন না হলে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ কঠিন। ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডেই আমাদের চিরুনি অভিযান চলছে, যা অব্যাহত থাকবে। এখন শুধু দরকার সচেতনতা, তাহলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকাংশেই কমে আসবে।’

    এ সময় ঢাকা উত্তরের নগরপিতা বলেন, ‘অবৈধ দোকান ও হোটেলের কারণে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের পেছনের দিকে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের ভেতরে কোনো অবৈধ দোকান-হোটেল থাকবে না।’

    তিনি বলেন, ‘এ ময়লা স্থানীয় খাবার হোটেল ও দোকানের ময়লা। বাসস্ট্যান্ডের ভেতরে অবৈধ দোকানের বর্জ্য এখানে ফেলে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। আমি নির্দেশ দিয়েছি, গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের ভেতরে কোনো ধরনের অবৈধ দোকান থাকবে না। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বলা হয়েছে তারা যেন খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।’

    এর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গাবতলী বাস টার্মিনালের ভেতরে ঘুরে দেখেন। সে সময় টার্মিনালের পেছনের অংশে নোংরা পরিবেশে ময়লা-বর্জ্যর স্তুপ দেখতে পান।

    এ সময় ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুক হক বলেন, ‘খুব তাড়াতাড়ি আমরা গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করব-এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। উচ্ছেদ হবে, উচ্ছেদ হতেই হবে। স্থানীয় কোনো রাজনৈতিক নেতাও যদি এর সঙ্গে জড়িত থাকে তবুও কেউ ছাড় পাবে না।’

    বিএম/এমআর