অ্যাকর্ডের সতর্কবার্তা চার শতাধিক গার্মেন্টসে

    অগ্নি নিরাপত্তা ইস্যুতে চার শতাধিক পোশাক কারখানাকে সতর্ক করে নোটিশ পাঠিয়েছে ইউরোপের ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড।

    পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সঙ্গে শর্ত ভঙ্গ করে ওইসব প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ পাঠানোয় তারা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে দেশের পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।

    শনিবার রাজধানী একটি স্থানীয় হোটেলে এক কর্মশালায় এ সব অভিযোগ করেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।

    অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে দেড় শতাধিক পোশাক কারখানার প্রতিনিধিদের নিয়ে ওয়ার্কশপের আয়োজন করে বিজিএমইএ। এতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকর্ডের প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক স্টিফেন কুইন।

    ড. রুবানা হক দাবি করেন, আদালতের নির্দেশে অগ্নি নিরাপত্তা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করতে বিজিএমইএর সঙ্গে সমঝোতা সাক্ষর (এমওইউ) করে অ্যাকর্ড। কিন্তু গত ২৯ জুন বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অ্যাকর্ডের স্টিয়ারিং কমিটি কারখানা পরিদর্শনে নতুন প্রটোকল তৈরি করে।

    ‘সে অনুযায়ী এক তরফাভাবে পোশাক কারখানাকে সতর্কতার নোটিশ পাঠাতে শুরু করে। নোটিশ পাঠানোয় ওই সব প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

    তিনি বলেন, অ্যাকর্ড চুক্তির মূল উদ্দেশের বর্তমান কাজের সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তারা অ্যাকর্ড একচ্ছত্রভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিজিএমইএকে পাশ কাটিয়ে। এভাবে চলতে থাকলে যে লক্ষে আমরা পৌঁছাতে চাই সেটা দূর থেকে দূরে চলে যাবে।

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় বহু শ্রমিক হতাহতের পর দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানা সংস্কারের জোর দাবি উঠে।

    এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরই ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতাদের কাছে রফতানি করে- এমন দুই হাজার দুইশ’ কারখানা সংস্কারে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স নামে দুটি সংস্থা কারখানা সংস্কারে কাজ শুরু করে। সোয়া দুইশ’ ক্রেতা ও ব্র্যান্ড অ্যাকর্ডের সঙ্গে কাজ করছে। আর দেশের ১৬শ’ কারখানা অ্যাকর্ডের সঙ্গে কাজ করছে।

    ড. রুবানা হক বলেন, ২০১৩ সালে অ্যাকর্ড কার্যক্রম শুরু করলেও ২০১৭ সালে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র পরীক্ষায় একটি সংস্থাকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ দেয়। ওই সংস্থা সংস্কার নতুন নতুন কাজে খুত বের করছেন, সেগুলো শতভাগ পূরণ করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়।

    ‘তাছাড়া অ্যাকর্ডভুক্ত ১ হাজার ৬০০ কারখানার মধ্যে গত ৬ বছরে মাত্র ২৪০টি কারখানাকে সার্টিফিকেট দিয়েছে। এতে ধীরগতিতে কাজ চলতে থাকলে বাকি কারখানাগুলোকে সময় দিতে আরও কত সময় লাগবে?’

    ‘যে সব কারখানাকে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে, সেগুলো অবকাঠামো এবং ইলেকট্রিক্যাল সেফটি কাজ শেষ করেছে। কিন্তু অগ্নি নির্বাপক ইস্যুতে টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিংয়ে আপত্তি দিচ্ছে।’

    অ্যাকর্ডের প্রধান নিরাপত্তা পরিদর্শক স্টিফেন কুইন বলেন, প্রটোকল অনুযায়ীই অ্যাকর্ড কাজ করবে। তবে বিজিএমইএর আলোচনার বিষয়বস্তু স্টিয়ারিং কমিটিকে জানানো হবে।

    বিএম/এমআর