পটিয়ায় ভর্তি শয্যা’র দ্বিগুন রোগী, হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক

    পটিয়া নতুন ২জনসহ মোট শনাক্ত ১৪ জন

    সনজয় সেন,পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পাশে অবস্থিত পটিয়া ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। এই হাসপাতালে পটিয়া উপজেলার রোগি ছাড়াও প্রতিদিন দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বোয়ালখালি, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বান্দরবান, লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন উপজেলার রোগিরা প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা নিয়ে আসছে।

    পটিয়া উপজেলার এ হাসপাতালে চিকিংসা সেবার মান অন্যান্য উপজেলার চাইতেও ভাল হওয়ায় অন্য উপজেলা থেকে অর্ধশতাধিক রোগী প্রতিনিয়ত ভিড় করে। তাছাড়া মহাসড়কের পাশে হওয়াতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের অনেক রোগি জরুরি অবস্থায় সেবা নেন এই হাসপাতালে।

    তবে জ্বর, ডেঙ্গু, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট রোগির সংখ্যা অধিক হারে বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের। তাছাড়া ৫০ শয্যার হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেডের অভাবে প্রতিদিন হাসপাতালের মেঝেতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিংসা সেবা নিচ্ছে ৩০ জনের অধিক। হাসপাতালের মেঝে এবং ফ্লোরে পর্যাপ্ত ফ্যানের ব্যবস্থা না থাকায় সেবার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনরা।

    আজ বুধবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে বর্তমানে হাসপাতালে ৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৭৮ জন। যার মধ্যে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, জ্বরের রোগি, এবং জন ডেঙ্গু রোগি রয়েছেন।

    এই বিষয়ে পটিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডাঃ ওয়াহিদ হাসান বাংলাদেশ মেইলকে জানান, আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে রোগীদের সেবায় শয্যা আছে ৫০টি। ফলে ৫০ জন রোগী সর্ব্বোচ্চ ভর্তির ব্যবস্থা আছে। এরপরও প্রতিদিন প্রায় ৮০ থেকে ১০০ জন রোগীকে সেবা প্রদান করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে অনেক রোগীকে বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝেতে ও সিটের নিচে ফ্লোরে শুয়ে সেবা দিতে হচ্ছে।

    এক্ষেত্রে গুটি কয়েক রোগীর কষ্ট হচ্ছে স্বীকার করে ডা. ওয়াহিদ হাসান বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত ফ্যানের অভাবেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অতিরিক্ত রোগিরা। তবে নির্ধারিত শয্যার বাইরেও হাসপাতাল মেঝেসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অন্তত ১০টি ফ্যানের ব্যবস্থা করলে সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে বাংলাদেশে HFS এর রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর মধ্যে চিকিৎসা সেবার মানের দিক থেকে পটিয়া হাসপাতাল ২য় স্থান অর্জন করে নেন। পটিয়া আসনের সাংসদ ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরী আন্তরিকভাবে একটু সুনজর দিলে হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নির্ধারিত শয্যার পাশাপাশি অতিরিক্ত রোগিদেরও সেবা দিতে সহায়ক ভুমিকা রাখতে পারবে পটিয়া হাসপাতাল।

    বিএম/সনজয় সেন/আরএস..

    আরো: ডেঙ্গু : পটিয়াতে নতুন ২জনসহ মোট শনাক্ত ১৪ জন