ট্রেনের টিকিট গায়েব : নাই আর নাই নিয়মিত ডায়ালগ

    নীলফামারী প্রতিনিধি : যখনই যান টিকিট নাই। নাই আর নাই। সবই শেষ কিংবা বুকিং হয়ে গেছে। এটা একটা নিয়মিত ডায়ালগে পরিণত হয়েছে নীলফামারী জেলার ৪টি রেল স্টেশনে।

    তাহলে ঢাকাগামী টিকিটি পাব কই? তবে এ প্রশ্নের উত্তর মেলা খুব সহজ। কাউন্টারে টিকিট হীরের টুকরো হলেও একটু অন্যপথে হাটলেই খুব সহজেই তার দেখা মিলছে এখানে।

    এ প্রতিবেদক ষ্টেশন মাস্টারের কাছে ১৬ আগষ্টের একটি টিকিট চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর অন্যপথে অফিসে বসেই টিকিট পেয়েছেন অতিরিক্ত দু’শ টাকার বদৌলতে। ডোমার ও চিলাহাটি রেল ষ্টেশনের টিকিট রেল কর্মকর্তাদের যোগ সাজশেই কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুন দামে। তবে মজার ব্যাপার নীলফামারী রেল ষ্টেশনে শুধু টিকিটই উধাও হয়নি বুকিং ক্লাক ও রেল ষ্টেশন মাস্টারও উধাও হয়েছেন। ওনারা কখন আসেন কখন যান তা কেউ জানেনা

    সূত্র জানায়, সান্তাহার থেকে বুকিং ক্লার্ক সিরাজ আহমেদ সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন তিতুমীর আন্তনগর ট্রেনে এসে আবার ঘন্টা দুয়েক পরেই ফিরতি ট্রেনেই ঘরে ফেরেন। একই অবস্থা ষ্টেশনের বড় ববাুরও। সৈয়দপুর থেকে এসে আবার চিলাহটী ফেরত ওই ট্রেনেই বাড়িতে চলে যান। তাদের চেহারা খুব একটা চোখে পড়েনা টিকিট প্রত্যাশীদের।

    এ বাস্তবতায় টিকিট নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন নীলফামারীর শত শত ট্রেনযাত্রী। কাউন্টারে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেকেই বাধ্য হয়ে অন্যপথে টিকিট সংগ্রহ করছেন।

    যাত্রীদের অভিযোগ কাউন্টারে গেলেই বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তি, ছাত্র নেতা ও সাংবাদিকদের নামে আগাম টিকিট বুকিং আছে বলে সোজা জানিয়ে দেয়া হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে।

    বিএম/এস এ মনন/আরএস..