পটিয়া বাইপাসে সৌদিয়া বাস উল্টে হতাহত ২৮

    পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়া বাইপাস সড়কে সৌদিয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাস উল্টে গিয়ে অন্তত ২৮ জন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ শনিবার বেলা ১২ টার দিকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে ছেড়ে আসা সৌদিয়া পরিবহনের বাসটি পটিয়া নতুন বাইপাসের গাজীর বাড়ির অংশে আসলে সড়কের উপর একটি ছেলেকে দেখতে পাই।

    ছেলেটিকে বাঁচাতে গিয়ে সৌদিয়া বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইপাসের পাশে সড়কে উল্টে যায়। এতে বাসে থাকা সকল যাত্রীই কমবেশি আহত হয়।

    খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রেরন করে। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সুত্রে জানিয়েছে।

    এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাড়িটির নিচে চাকায় পৃষ্ট একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সে স্পটেই মারা গেছে।

    নিহত মৌলভি মো. শামসু (৫৫) সাতকানিয়ার জুলু সওদাগরের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম নগরী আগ্রাবাদ এলাকার বিপণি বিতান ‘লাকি প্লাজা’র মেহেদি স্টোর নামের একটি দোকানের মালিক বলে জানা গেছে।

    চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, সৌদিয়া পরিবহনের বাসটি কক্সবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে আসছিলেন। বাসটি পটিয়া নতুন বাইপাসের গাজীর বাড়ির অংশে আসলে একজন পথচারী সড়কে উঠে পড়ে। এসময় ওই পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উল্টে যায়।

    এ ঘটনায় একজন নিহত ও বাসের আরো ২৭ যাত্রী আহত হয়। আহতদের পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। নিহতের লাশ পটিয়া মেডিকেল হাসপাতাল মর্গে  পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।

    পটিয়া হাসপাতাল সূত্রে কয়েকজন আহত ব্যাক্তির নাম জানা গেছে। আহতদের মধ্যে, লোহাগাড়া উপজেলার আবুল হোসেনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৩০), কক্সবাজারের নুরুল হকের ছেলে জয়নাল (২৫), একই জেলার শাকিব (২১), সাতকানিয়া উপজেলার মো. নুরুল কবিরের স্ত্রী জান্নাত আরা (২৭), শহীদ (৩৫), সৈয়দ হোসেন (৩৮), ইমাম হোসেন (১৭), খোরশেদ (৪২), সুমি (৪০), আরিফ হোসেন, রাকিব (১০), রনি (৩৬), আব্দুল মালেক (৫৫)সহ অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজন পটিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে।

    এছাড়া আঘাত গুরুতর হওয়ায় আশংকাজনক অবস্থায় আমিরাবাদ এলাকার আমেনা খাতুন (৫৫), একই এলাকার সেলিম(৩৪), কক্সবাজারের আবু তালেব (৪৫)কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পটিয়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

    বিএম/সঞ্জয়/রাজীব