ভারতীয় দুই জাহাজের অবৈধ অনুপ্রবেশ : খতিয়ে দেখছে সরকার

    চট্টগ্রাম মেইল : বাংলাদেশের পানিসীমায় ভারতীয় দুই জাহাজের অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণ খতিয়ে দেখছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু জানিয়েছেন ভারতীয় জাহাজ এফভি সি উইন্ড’ এবং এফভি সি ভিউ’এর বিরুদ্ধে শাস্থিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাছ ধরা ট্রলার দুটি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের পানিসীমায় প্রবেশের উদ্দেশ্য কি ছিলো তা তদন্তের পর জাহাজ দুটির বিষয়ে শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

    রবিবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু। এসময় সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌ-অধিদফতর, কোস্টগার্ড, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান আরো বলেন, মিথ্যা ডিক্লারেশন দিয়ে দুটি মাছ ধরার ট্রলার বাংলাদেশে ঢুকেছে। আমরা সেটা তদন্ত করে ধরতে পেরেছি। এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে সভা করেছি। সভা থেকে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয় যা দু-একদিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ওরা ক্যামেরুনের পতাকা নিয়ে আসছিল। সেটাও তারা নামিয়ে ফেলেছে। কোন দেশের মালিকানার জাহাজ তা তদন্তের পর জানা যাবে। প্রতিটি জাহাজে আটজন করে নাবিক ছিল। জাহাজে আরো কী ছিল সেটা এখনো পরিষ্কার না। তবে কিছু মাছ ধরার জাল ছিল বলে জানতে পেরেছি।

    মিথ্যা ডিক্লারেশন দিয়ে ঢোকার কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কাস্টমসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কী উদ্দেশ্যে জাহাজ দুটি এসেছে সেটা কমিটি দেখবে। জাহাজের নামও সত্যিকারভাবে যা আছে তা কি না সেটাও দেখা হবে।’

    তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যখন কোনো মাছ ধরার ট্রলার মেরামত কিংবা যেকোনো কারণেই বাংলাদেশে আসুক না কেনো সেটা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। এরপর তারা প্রবেশ করবে কি না সেটা আমাদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।

    উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের পানিসীমায় অবস্থান করছিল জাহাজ দুটি। পরে বাংলাদেশের কোস্ট গার্ড দুটো জাহাজকেই আটক করে। ভারতের কন্টিনেন্টাল ফিশারিজ লিমিটেডের জাহাজ দুটি এখন চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে।

    বিএম/আরএসপি..