ড্রোন দিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে নজরদারিতে করছে ভারত

    নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বের বৃহত্তম দেশ ভারতের সঙ্গে চীন, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সীমান্ত ও চোরাকারবারি থাকলেও ‍শুধু বাংলাদেশিদের ওপর গুলি চালিয়ে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় দেশটি। বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের বিশেষ নজরদারি নতুন কিছু নই।

    সম্প্রতি ইসরাইল থেকে বেশ কিছু আধুনিক ড্রোন কিনেছে ভারত। ইহুদিবাদী দখলদার ইসরাইয়ের সঙ্গে আধিপত্যবাদী ও হিন্দুত্বাবাদী ভারতের বন্ধুত্ব পূরণো। বন্ধুদেশের এই সব আধুনিক ড্রোন দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছে ভারত।

    দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দু এখবর দিয়েছে। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের আসামের প্রায় দুই শতাধিক কিলোমিটার সীমান্তের এই নজরদারি করছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ’র সদস্যরা।

    সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৭ লাখ রুপির টেদার ড্রোন কিনেছে বিএসএফ। সংখ্যাটি অজ্ঞাত। এসব ড্রোন বাংলাদেশ-আসাম সীমান্তের ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ড্রোনগুলো ব্যবহার করে দিন-রাত সবসময়ই ভালো ছবি সংগ্রহ করা যায়। প্রায় ২ কিলোমিটার দূর থেকে এগুলো ব্যবহার করে সীমান্তে নজর রাখা সম্ভব।

    এসব ড্রোনগুলো রাতে ব্যবহার করছে বিএসএফ। বাহিনীটির গুহাটি ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল পিযূষ মোরদিয়া বলেন, ‘চোরাকারবারি-পাচারের মতো অপরাধগুলো সাধারণত রাতে সংঘটিত হয়। দূরত্ব বেশি থাকায় ওইসব স্থানগুলোতে নজরদারি করা বেশ কঠিন। তবে টেদার ড্রোনগুলো ১৫০ মিটার ওপর থেকে অব্যাহতভাবে ছবি তুলে পাঠাতে সক্ষম। ফলে আমাদের নজরদারির ক্ষেত্রে শারীরিক উপস্থিতির সীমাবদ্ধতা অনেকটাই কমে গেছে।’

    পিযূষ মোরদিয়া জানান, তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন একটি বার্তা দেওয়া, যেখানে সবাই জানবে যে দিন-রাত ওই অঞ্চলে নজরদারি চলছে। ড্রোন ছাড়াও বিএসএফ থার্মাল ইমেজার মোতায়েন করেছে, যার মাধ্যমে মানুষ ও প্রাণীর শরীরের তাপমাত্রার মাধ্যমে তাদের চলাচল শনাক্ত করা যাবে।

    তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া মাটি ও পানির নিচে বসানো হয়েছে সেন্সর। পানির নিচের সেন্সরগুলো আমাদের এমন তথ্য দেবে, যা নৌকার মাধ্যমে টহল দেওয়া ছাড়া সম্ভব নয়।’