বেনাপোল কাস্টমস ভোল্টে থেকে স্বর্ণ চুরি, থানায় মামলা

    বাংলাদেশ মেইল | ডেস্ক:  বেনাপোল কাস্টস হাউজের গোপনীয় লকার ভোল্ট থেকে ১৯ কেজি ৩১৮ গ্রাম স্বর্ণ চুরি হয়। যার মুল্য নির্ধারণ হয় ১০ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৬২টাকা। এই দুর্ধর্ষ চুরি উদঘাটনে বেনাপোল পোর্ট থানাসহ, ডিবি, সিআইডি (ক্রাইম সিন) ও পিবিআই ঘটনা তদন্তে কাজ করছে। কাস্টমস ভোল্ট থেকে স্বর্ণ চুরি হওয়ায় বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি অজ্ঞাতনামা মামলা হয়। চুরি সংক্রান্ত ৪৬৮ ও ৩৮০ ধারায়, যার মামলা নং-২২ তাং ১১/১১/১৯ রুজ করা হয়।
    ২৪ঘন্টা অতিবাহিত হলেও চুরির সাথে কারা জড়িত আছে তা উদঘাটন করতে পারিনি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসবাদের জন্য যাদের কে পুলিশ হেপাজতে নেয়া হয়েছিল তাদের কাছ থেকে সঠিক কোন তথ্য না পাওয়ায় এখনো পুলিশ হেপাজতে জিজ্ঞাসার জন্য রাখা হয়েছে।
    সুত্র ম‌তে, কাস্টমস হাউ‌জের পুরাতন ভব‌নের দ্বিতীয় তলায় কাস্টমস হাউ‌জের গোপনীয় ভোল্ট লকার এর এক‌টি কক্ষ র‌য়ে‌ছে। সেই ক‌ক্ষে প্র‌বেশদ্বারে নেই কোন সিসি ক্যামেরা। অন্য রুমের সামনে সিসি ক্যামেরা থাকলে তা বন্ধ ছিলো এবং চোর চক্র সে সি‌সি ক্যা‌মেরার তার কে‌টে সংযোগ বিচ্ছন্ন করে রাখে। ওই ভোল্ট লকা‌রে কাস্টমস, কাস্টমস শুল্ক গো‌য়েন্দা, বি‌জি‌বি ও পু‌লি‌শের উদ্ধারকৃত স্বর্ণ, ডলার বৈ‌দে‌শিক মুদ্রা, কষ্টি পাথরসহ কোটি কোটি টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র থাকে।‌ সেই ভোল্ট থেকে ৩০ কেজি স্বর্ণের মধ্যে থেকে ১৯ কেজি ৩১৮ গ্রাম স্বর্ণ খোয়া যায়। যে ভোল্ট থেকে স্বর্ণ চুরি হলো, অথচ সে ভোল্টে তালা অবস্থায় ছিলো। সেখান থেকে কি ভাবে ১৯.৩১৮ কেজি স্বর্ণ উধাও হলো। ভোল্টে এতো মূল্যবান জিনিষের মধ্যে থেকে শুধু স্বর্ণয় চুরি হলো আবার সব স্বর্ণ চুরি হলো না জনমনে প্রশ্ন জেগে ওঠেছে। যেখানে বাংলাদেশের সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ থাকে সেখানে কি পরিমান নিরাপত্তা থাকে, না অরক্ষিত নিরাপত্তা থাকে, তা জনমনে কৌতুহল সৃষ্টি হয়। যদি নিরাপত্তায় থাকে তাহলে কিভাবে এ স্বর্ণ চুরি হলো এই স্বর্ণ চোর সংঘবদ্ধের সাথে কাস্টমস এর কোন না কোন কর্মকর্তাদের জোগ- সাজেষ আছে বলে মনে করেন। ঘটনাস্থ‌লে এখনো পু‌লিশ মোতায়ন করা আছে।
    স্থানীয়রা ব‌লেন, বাংলাদেশের সরকারের কোটি টাকার স্বর্ণ চোরের সাথে যে চোর সেন্টিগেটরা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করেন।