এই সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে:ফখরুল

    স্টাফ রিপোর্টারঃ‘এই সরকার সচেতনভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে। তার একটি মাত্রই উদ্দেশ্য, এই দেশটিকে তারা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।’

    মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদের আয়োজিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায়  এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার সচেতনভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে। তার একটি মাত্রই উদ্দেশ্য, এই দেশটিকে তারা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।’

    সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করে তিনি, ‘কয়েকদিন আগে সিপিবির একটা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলেছে, বাংলাদেশের যে প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে সেটা সঠিক নয়। তারা বলছে, বাংলাদেশের প্রতিটি অর্থনীতির স্তম্ভ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক লুট, শেয়ারবাজার লুট, টাকা পাচার— ১ লক্ষ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে ব্যাংকের মাধ্যমে, যা দিয়ে পাঁচটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেত।’

    বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, ‘একদিকে বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস, প্রশাসন ধ্বংস, অন্যদিকে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মানুষের সমস্ত অধিকারকে হরণ করা হয়েছে। তাই, বেগম খালেদা জিয়া এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছিলেন বলে তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে।’

    গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনসাধারণকে আত্মত্যাগের আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে, তাই তাকে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা যদি তরিকুল ইসলাম ও সাদেক হোসেন খোকার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চাই তাহলে অবশ্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমাদের মুক্ত করতে হবে। তাই, বেগম জিয়াকে মুক্তি, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। আসুন সে লক্ষ্যে আমরা সবাই আত্মত্যাগ করি।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খেটে খাওয়া মানুষের নেতা ছিলেন মরহুম তরিকুল ইসলাম। গতকাল একই দিনে আমরা আরেকজন জনদরদী নেতা ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে আমরা হারিয়েছি। তাদের চলে যাওয়া যদি সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশে হতো তাহলে আমরা কিছু মনে করতাম না। কিন্তু তাদের মৃত্যু কষ্টের। তাদেরকে মামলা দিয়ে এক কারাগার থেকে আরেক কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতন করেছে।’

    বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের সঞ্চালয় স্মরণ সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।