ক্ষমতায় এলে, সর্বপ্রথম বিচার হবে বিচারপতি খায়রুল হকেঃআলাল

    স্টাফ রিপোর্টারঃ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘যদি কোনদিন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ আসে। বিএনপি যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায়। তাহলে তত্তাবোধক সরকার বাতিলের দ্বায়ে সর্বপ্রথম বিচার করতে হবে বিচারপতি খায়রুল হকের।’

    মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য মরহুম তরিকুল ইসলাম এর স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    আলাল বলেন, ‘আজকের এই দেশ অশান্ত অসাংবিধানিক। বাংলাদেশ গতকাল গেছে সংবিধান দিবস। সেই সংবিধান দিবসকে স্মরণ করে আমি বলতে চাই। এই সংবিধানের জন্যই বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিল। দেশ স্বাধীন করেছিল। সাদেক হোসেন খোকারা যুদ্ধ করেছিলেন। আজকে সেই সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে করে যে অবস্থায় দাঁড়িয়েছে এই তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় দাঁড়িয়ে আমি বলতে চাই। এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘যদি কোনদিন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ আসে বিএনপি যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায়, সর্বপ্রথম বিচার করতে হবে বিচারপতি খায়রুল হকের। যে এদেশে তত্তাবোধক সরকার বাতিল করে দিয়ে তাকে যারা মাখন ঘি সরবরাহ করেছে তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করে সাধারণ জনগণকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে, সেই কারণে তাকে সর্বপ্রথম বিচার করতে হবে। তারপরে আরো অনেকের তালিকা আসবে যারা উন্নয়নের কথা বলে বলে চেতনার কথা বলে বলে অচেতন হয়ে যান সেই উন্নয়নের নেতাদের একে একে বিচার করতে হবে।’

    বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির আমলে চাউলের দাম ছিল ২০ টাকা আর বর্তমান সরকারের আমলে সর্বনিম্ন চাউলের দাম ৬০ টাকা, আজ দেশে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের দামের এতো উন্নয়ন হয়েছে তারপরও প্রধানমন্ত্রী মাঝেমাঝে বলেন আমরা নাকি বলি দেশের কোথাও কোনও উন্নয়ন হয়নি। এই উন্নয়নের নমুনা দেখালাম।’

    তরিকুল ইসলাম স্মরণে আলাল বলেন, ‘একটা মানুষের অনুপস্থিতিতে তাকে নিয়ে যে ভালো মন্দ কথা বলে সেটাই হচ্ছে একটা মানুষের সফলতা। সেই সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে ছিলেন তরিকুল ইসলাম। তার জীবনের অনেক কিছুই আমরা জানি, তার জীবন থেকে যদি আমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারি তাহলে তার প্রতি সম্মান জানানো হবে না।’

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু,নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।