ভারতের কাছে হেরে টানা তিন মাস ঘুমাননি মুশফিক

    স্পোর্টস ডেস্কঃ মুশফিকুরের বাবা মাহবুব হামিদ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বললেন, “আমার ছেলের মাথা থেকে একটাবোঝানেমে গেল। বেঙ্গালুরুতে সেই ম্যাচ আমাদেরই জেতার কথা। বলে রান, এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ কেউ হারে? কিন্তু মুশফিক সেদিন পারেনি। এটা ওর ব্যক্তিগত জীবনে মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলেছিল। টানা তিন মাস ঘুমাতে পারেনি। চেনাশোনা সাংবাদিকদের সাথেও বহুদিন কথা বলা বন্ধ রেখেছিল। দিল্লির ইনিংসটা আসলে মুশফিকের মাথা থেকে বড় একটাবোঝানামিয়ে দিলো।

    ভারত সফরের জন্য স্পেশাল প্রস্তুতি কী নিয়েছিলেন? বাবা মাহবুব হামিদ বলছেন, ”মুশফিক ক্রিকেট সংক্রান্ত বিষয়ে কখনই আমাদের সাথে কোনো কথা বলে না। সংকল্প আর জেদ নিজের মধ্যে পুষে রাখে। ছোটবেলা থেকেই একেবারে অন্যরকম। আমার বাকি ছেলেদের মতো নয়। বরাবরই স্পেশ্যাল।

    তিনি আরো বলেন, “ যদি রকম কিছু চিন্তাভাবনা করে থাকে তাহলে সেটা কাউকে জানাবে না। জানতাম ওর ভেতরে ভেতরে জেদ ছিল। বিশেষ করে বেঙ্গালুরুর ওই ম্যাচটা হার ওকে ভিতরে ভিতরে পোড়াত।

    সাকিবতামিমকে ছাড়াই ভারতবধ। মুশফিকের বাবা বলছিলেন, “বেশ কিছুদিন বাংলাদেশের ক্রিকেট টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। এই হতাশা থেকে বেরোনোর জন্য ভারতের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প আর কী হতে পারে! যখন বিমানবন্দরে মুশফিককে বিদায় জানাতে গিয়েছিলাম, তখন সৌম্যমোসাদ্দেকরা বলাবলি করছিল, ওরা এবার সাকিবের জন্য খেলবে। চোখে মুখে জেদপ্রত্যয় ঠিকরে বেরোচ্ছিল।

    দিল্লিতে রেকর্ড জয়ের পর মুশফিকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন মাহবুব হামিদ। কিন্তু পারেননি। মেসেজে বার্তা পেয়েছেন। মুশফিকের বাবা জানালেন, “ম্যাচ শেষ হওয়ার পর কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। তবে পারিনি। পরে আমাকে মেসেজ করেছে। সবাইকে দোয়া করতে বলেছেন যেন পরের ম্যাচগুলোতেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে।

    ২০১৬ সালের  টি২০ বিশ্বকাপে লড়াই চলছিল বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে। জয়ের জন্য টাইগারদের প্রয়োজন ছিল বলে রান। সেদিন হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।