ম্যারাথনের স্বপ্ন ছুঁতে চায় সাইফুল

    ম্যারাথনের সপ্ন ছুঁতে চাই সাইফুল

    তোফায়েলুর রহমান:কাজ শুরু করার সাথে সাথেই কি সফলতা আসে? নিশ্চয় না। জীবন যেমন পুষ্পশয্যা নয় তেমন সফলতাও রাতারাতি ধরা দেয় না। সফলতা অর্জন করে নিতে হয়।কঠোর পরিশ্রম আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজের সঙ্গে লেগে থাকতে হয়। আজ পর্যন্ত যারা সফল হয়েছেন তাদের সফলতার পেছনে রয়েছে ভাঙ্গা গড়ার বিরাট ইতিহাস।এমন ভাঙ্গা গড়ার ইতিহাস কে পিছনে পেলে জীবনের দৌড়ে ডিঙ্গিয়ে বাস্তব দৌড়ে সফলতার স্বপ্ন ছুঁতে চাই মো: সাইফুল।তরুণ প্রাণ সাইফুল, অবিরাম দৌড়ায় নিজ ইচ্ছায়।

    গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর হলেও গ্রামের গন্ডি পেরিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে নিজের জাত চিনিয়েছেন।কৃতিত্ব প্রমাণ করেছেন পুরষ্কার অর্জন করে।ইতোমধ্যে তিনি গাজীপুর হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ২১.১ কিলোমিটার পথ মাত্র ১ঘন্টা ৩৩ মিনিটে পার হয়েছেন অনন্য কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ।হিমু পরিবহন রান ফর ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস ফিনিসার ,দুরন্ত চট্টগ্রাম মিনি ম্যারাথন ফিনিসার,দ্বিচক্রযান ডুয়েথলেন ২৮ তম ,ঢাকা হাফ ম্যারাথন ফিনিসার ,বিওয়াইএলসি রানিং ফর পারপাস ঢাকা ফিনিসার ,রানিং ফর পারপাস চট্টগ্রাম ফিনিসার ,শ্রীমঙ্গল চ্যালেঞ্জ ২৯ তম ,ডেকাথলন রানিং চ্যালেঞ্জ ১০০ কিলোমিটার ফিনিসার প্রতিযোগিতায় লড়েছিল ।শুধু দৌড়ে নয় সাইক্লিংও দক্ষ সাইফুল ইসলাম, তিনি রাঙ্গামাটি, বান্দরবান,কাপ্তাই, বাঁশখালী,ফটিকছড়ি, ফেনী,নোয়াখালী,লক্ষীপুর,চাঁদপুর সাইকেল চালিয়ে ভ্রমণ করেছেন।তিনি এখন ইন্টারন্যাশনাল ম্যারাথনেরর জন্য নিজেকে তৈরি করছেন। সাইফুল ইসলাম বলেন,ছোটবেলায় দৌড়কে খুবই ভয় পেতাম, কে জানত দৌড়কে প্যাশন বানিয়ে ফেলবো।প্রায় ৯টা ইভেন্ট এ অংশগ্রহন করেছি, ৬ টাতে পুরস্কার পেয়েছি,শেষ ইভেন্ট ছিল গাজীপুর হাফ ম্যারাথন, গত ৪ মাস আগে ১৫০কিলোমিটার রানিং চ্যালেঞ্জ এ ১৩৪ কিলোমিটার শেষ করি ১৫ দিনে।

              ম্যারথান মেডেল ও সার্টিফিকেট

    সাইফুল পড়াশোনা করছেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে।পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি এখন স্বপ্ন দেখেন আন্তর্জাতিক আইরনম্যান প্রতিযোগীতায় অংশ নেওয়ার।জয়ী হয়ে দেশের মুখ উজ্বল করার চিন্তা তার। সাইফুলের পড়াশোনার খরচ নিজেকেই জোগাড় করতে হয়।হয়ত টিউশন করে না হয় অন্যকোন পন্থানুসরণ করে।দৌড় এখন সাইফুলের জীবনের রুটিন। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। সেই জন্য নিজেকে তৈরি করছি।কিন্তু বিদেশে গিয়ে প্রতিযোগীতায় অংশ নেওয়ার আর্থিক সামর্থ্য আমার নেই।যেখানে দৌড়ের জন্য এক জোড়া ভালো জুতার দাম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা, আর নিবন্ধনসহ অন্যান্য খরচ তো আছেই।টিউশন করে এই খরচের ব্যবস্থা করি। কঠিন ব্যাপার যদি কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান সহযোগীতার হাত না বাড়ান তাহলে এমন প্রতিভা লুকায়িত থাকবে নিজের মধ্যে কিংবা দেশের মধ্যে।