বাংলাদেশ মেইল || ডেস্ক :
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের অ-তালিকাভুক্ত ২৭ বীমা কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নির্ধারিত এ সময়ের মধ্যে বীমা কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হলে, তাদের লাইসেন্স প্রাথমিকভাবে সাময়িক বাতিল করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তবে অর্থমন্ত্রীর এ হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়ে অধিকাংশ অ-তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানির তেমন কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বীমা কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হেতে পারবে কি-না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টদের মতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হলে কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে। আর এ কারণেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে তেমন আগ্রহ নেই বীমা কোম্পানিগুলোর। এছাড়া অধিকাংশ কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা নেই বললেই চলে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি কোম্পানি দেউলিয়া হওয়ার পথে রয়েছে। পাশাপাশি শেয়ারবাজারে আসতে হলে প্রতিষ্ঠানকে পর পর তিন বছর লাভজনক হতে হয়। কিন্তু কোনো কোম্পানিই মুনাফায় আসতে পারেনি। বেশ কয়েকটি কোম্পানি লাইফ ফান্ডের টাকা ভেঙে খরচ মেটাচ্ছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হচ্ছে। তবে তিন-চারটি কোম্পানি বাজারে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে বীমা কোম্পানির সংখ্যা ৭৮টি। এরমধ্যে সাধারণ ইন্স্যুরেন্স ৪৬টি এবং লাইফ ইন্সুরেন্স ৩২টি। উভয় খাতেই সরকারি একটি করে কোম্পানি রয়েছে। ৭৮টি বীমা কোম্পানির মধ্যে ৪৭টি কোম্পানি বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। বাকি ২৭টি কোম্পানিকে নতুন করে তালিকাভুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি জীবন বীমা কোম্পানি এবং ৯টি সাধারণ বীমা কোম্পানি রয়েছে। বাকি চারটি কোম্পানির মধ্যে দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত, একটি বিদেশি মেটলাইফ ও বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ কোম্পানি। তবে এ চারটি বীমা কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার ব্যাপারে জটিলতা রয়েছে।