টেলিভিশন সংবাদ কর্মীদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া হবে – তথ্যমন্ত্রী

    বাংলাদেশ মেইল || নিজস্ব প্রতিবেদক :

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণমাধ্যম কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। তাদের জীবনমান উন্নয়নের সাথে চাকরির স্থায়িত্ব ও আইনি সুরক্ষা দেওয়া হবে। গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য সম্প্রচার নীতিমালা হয়েছে। এ নীতিমালার আওতায় কি ভাবে তাদের আইনী সুরক্ষা দেওয়া যায় সে জন্য কাজ করছে সরকার।
    মন্ত্রী শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে “বিশ্ব টেলিভিশন দিবসচ্ উপলক্ষে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ও টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃত্বে এসব কথা বলেন।
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের জন্য একটি সুখবর দিতে চাই, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র আগামী মাস থেকে ১২ ঘন্টা সম্প্রচারে যাবে। বর্তমানে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র শুধু ক্যাবল টেলিভিশন হিসেবে সারাদেশে ও বিদেশে দেখা যায়। কিন্তু আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এটিকে টেরেস্ট্রিয়াল চ্যানেল হিসেবেও উন্নীত করা হবে। ইতিমধ্যে যন্ত্রপাতি কেনার টেন্ডার হয়ে গেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রের মত বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রও ডিশ কানেকশন ছাড়াও টেরেস্ট্রিয়াল চ্যানেল হিসেবে সারাদেশে দেখা যাবে। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান সম্প্রচার ৬ ঘন্টা থেকে ৩ ঘন্টা বাড়িয়ে ৯ ঘণ্টার অনুষ্ঠান সম্প্রচারের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
    মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমবান্ধব। বেসরকারি খাতে দেশের প্রথম টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনিই। প্রিন্ট মাধ্যমের সাংবাদিকদের মত টিভি সাংবাদিকদেরও আইনি সুরক্ষা দেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, টেলিভিশনে চাকুরিরতদের বেশিরভাগই মেধাবী। টেলিভিশনে কর্মরত সাংবাদিক ভাই-বোনদের আইন সুরক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। যারা ওয়েজবোর্ডের মাধ্যমে প্রিন্ট মাধ্যমে কাজ করেন, তাদের জন্য আইনি সুরক্ষা আছে। কিন্তু টেলিভিশনের ক্ষেত্রে আইনি সুরক্ষা এখন পর্যন্ত নেই। আমরা সেটি নিয়ে কাজ করছি।
    তিনি বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা ইতিমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। সম্প্রচার আইনও পাস হবে। সেটি হলে সম্প্রচার মাধ্যমের সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে। তারপরও আমরা চিন্তা করছি, সম্প্রচার নীতিমালা যেহেতু বিদ্যমান আছে, এই নীতিমালার আলোকে কিভাবে আইনি সুরক্ষা দেওয়া যায়।
    তিনি আরো বলেন, শিশু-কিশোরসহ আমাদের পুরো জনগোষ্ঠীর ওপর টেলিভিশনের প্রভাব ব্যাপক। যে মাধ্যমের এতবড় প্রভাব, সেটিকে আমরা জাতিগঠনের বিশাল কাজে লাগাতে পারি। আমাদের নতুন প্রজন্মের মনন তৈরি এবং একইসাথে ভবিষ্যতের স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছানোর জন্য যেমন মেধা, মূল্যবোধ ও দেশাত্মবোধসম্পন্ন জনগোষ্ঠী তৈরির সক্ষমতা আমাদের টেলিভিশনের রয়েছে। টেলিভিশন যেন ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়ী স্বার্থে ব্যবহার না হয়, সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ মহাপরিচালক (বার্তা) অনুপ কুমার খাস্তগীর, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদার, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতা, সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারী রুনা ও চট্টগ্রাম টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক শফিক আহামদ সজীব বক্তব্য রাখেন।