Thursday, April 25, 2024

    খেলাপির পরিমান বেড়ে ঋনের১২ শতাংশ

    কিন্তু সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা তৎপরতার পরও নতুন অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে আরও ৩ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। গত জুন মাস শেষে খেলাপির হার ছিল ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর গতবছর সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপির হার দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে  মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৪২৫  কোটি টাকা। আর তিন মাসের ব্যবধানে সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক ব্যবস্থায় খেলাপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৮  কোটি টাকায়।

    সর্বশেষ ১৭ নভেম্বর মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ৯ শতাংশ সুদহারে ঋণ পুনঃতফসিলের (রিশিডিউলিং) সুবিধার সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আরও ৯০ দিন সময় পাবেন আবেদনকারীরা। এই সুবিধায় ঋণ পুনঃতফসিল করে নিয়মিত হয়েছেন অনেকে। তবে খেলাপি তালিকার বড় গ্রহীতাদের উল্লেখযোগ্য অংশ এই সুযোগ না নেওয়ায় ব্যাংক ব্যবস্থায় মন্দঋণ কমানো যায়নি।

    বর্তমান সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ১০ জানুয়ারি সব ব্যাংক মালিকের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেছিলেন, ‘আজ থেকে খেলাপি ঋণ আর এক টাকাও বাড়বে না। ’ আর জানুয়ারি-মার্চ এ তিন মাসেই খেলাপি ঋণ প্রথমবারের মতো ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। চলতি বছরের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ১৬ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা বেড়ে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়।

    আর এপ্রিল-জুন প্রািন্তকে ১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা বেড়ে খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় ১ লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকায়। সহজ শর্তে ঋণ নিয়মিতকরণের সুযোগ দেওয়ার পরও সর্বশেষ সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, খেলাপি ঋনের বিষয়টি যতটা না ব্যবসায়ী মন্দাবস্থার কারনে, তারচে বেশি ঋন গ্রহিতার দৃস্টিভঙ্গি ও আইনের দূর্বল প্রয়োগের কারনে হচ্ছে। ঋনের টাকায় বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্থ হয়ে, ঋন পুনঃতফসীলে গা করছে না ঋন খেলাপিরা। যার কারনে বার বার সুযোগ দেবার পরও খেলাপী ঋনের পরিমান কমছে না কিছুতেই।