বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি পুরোপুরি বন্ধের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে

    বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি পুরোপুরি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তাদের যেন কোনোরকম হয়রানি এখানে করা না হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।’

    আজ শনিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েকটি উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যারা বিদেশে কাজ করে, যাদের অর্থে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি, আমাদের রিজার্ভ নিশ্চিত হয়, তারা যখন একটা কর্মস্থল থেকে ফেরে, নানাভাবে তাদের অনেক সময় হয়রানি করা হয়।’

    তিনি বলেন ‘এখন এটা (যাত্রী হয়রানি) অনেকটা কমে গেছে। তারপরও আমি বলবো যে, যারা আমাদের দেশের নাগরিক বিদেশে যায়, আমরা সেখানে জনশক্তি রপ্তানিও করি এবং সেখান থেকে বিরাট অংকের বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করি; তাদের সুবিধাগুলো দেখতে হবে, তাদের যেন কোনোরকম হয়রানি এখানে করা না হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।’

    ভিআইপিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের নিয়ম মানেন না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিরাপত্তা বিষয়টাতে অনেক গুরুত্ব দিয়েছি, সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি। নিরাপত্তার যে নিয়মগুলো আন্তজার্তিক পর্যায়ে আছে, আমাদের সব যাত্রীকে সেটা মেনে নিতে হবে।’

    এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতিমুক্ত করে গড়ে তুলতে চাই।’

    এর আগে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসেই জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে নতুন যুক্ত হওয়া বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯ সিরিজের নতুন দু’টি উড়োজাহাজ ‘সোনার তরী’ ও ‘অচীন পাখি’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দেশের অ্যাভিয়েশন সেক্টরের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। পরে ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স’ নামে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এ অ্যাপের মাধ্যমে বিমানের টিকিট কাটলে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।