সেনাবাহিনীকে যুগোপযোগী করতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করি। নতুন নতুন ডিভিশন গঠন করি। আমরা সবসময় সেনাবাহিনীকে যুগোপযোগী দেখতে চাই, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে চাই।

    আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে সামরিক বাহিনীর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম এবং অনস্বীকার্য। এ কারণেই একটি প্রশিক্ষিত, শক্তিশালী ও দক্ষ সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কুমিল্লা সেনানিবাসে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির শুভ উদ্বোধন করেন, যা ছিল বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

    তিনি বলেন, আমরা সেনাবাহিনীতে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছি। এখন প্রযুক্তির যুগ। আমরা প্রযুক্তির শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের সেনাবাহিনী থাকবে সবসময় যুগোপযোগী ও আধুনিক।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে। বিভিন্ন দেশ, সবাই তাদের প্রশংসা করে। তোমাদের এই সুনাম আরো এগিয়ে নিতে হবে। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের মানুষ শান্তি আর সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জানবে-এটিই আমার প্রত্যাশা।

    অনুষ্ঠানে মাধ্যমে ২৩৪ জন বাংলাদেশি, ২৯ জন সৌদি, ১ জন ফিলিস্তিনি, ১ জন শ্রীলংকানসহ মোট ২৬৫ জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের মধ্যে ৭৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে ২০৭ জন পুরুষ, ২৭ জন মহিলা ক্যাডেট রয়েছেন।

    অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ছিলেন।