করোনাভাইরাস: সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

    ঢাক: করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কক্সবাজার, পতেঙ্গা ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

    আজ বুধবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জনসমাগম বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দেন।

    কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলোতে নতুন করে পর্যটক ঢুকতে না দেয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। যেসব পর্যটক হোটেলে অবস্থান করছেন তাদেরকে হোটেল ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, দেশি-বিদেশি পর্যটকের কারণে কক্সবাজার করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কক্সবাজারে পর্যটকদের না আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমুদ্রসৈকতে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সৈকত কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সমুদ্র সৈকত থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দিচ্ছেন।

    এর আগে, পতেঙ্গা ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে জনসমাগম নিষিদ্ধে সৈকত এলাকা বন্ধ করে দেয়া হয়। সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমান  জানিয়েছেন, বিকেল থেকে পতেঙ্গা সৈকতে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।

    পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া বলেন, ‘জনসমাগম যাতে না হয়, সেজন্য পতেঙ্গা ও নেভাল পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

    পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সিএমপির পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

    এদিকে, বিকেল ৫টা থেকে দর্শনার্থীদের কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।