বগুড়ায় এক ব্যাক্তির মৃত্যু, ২০ টি বাড়ি লকডাউন

    বাংলাদেশ মেইল ::

    বগুড়ার শিবগঞ্জে ঢাকা ফেরত এক ব্যক্তির মৃত্য হয়েছে। পরিবারের দাবি, বাড়ি আসার পর জ্বর, সর্দি ভুগতে থাকেন ওই ব্যক্তি। পরে শ্বাসকষ্ট হয়ে শুক্রবার মারা যান। নিহত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কী-না, তা নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করেছে ডাক্তারদের একটি টিম। এদিকে, উপজেলা প্রশাসন ওই বাড়িসহ আশপাশের ২০টি বাড়ি লকডাউন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার শফিক আমিন কাজল জানান, শনিবার সকাল ৭টার দিকে হাসপাতালে স্থাপিত করোনা আইসোলেশন ইউনিটের হটলাইন নাম্বারে ফোন দেন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, গত বুধবার তার স্বামী ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। ওই রাত থেকেই তিনি জ্বর ও সর্দিতে ভুগতে থাকেন। পরদিন স্থানীয় ফার্মেসি থেকে জ্বর-সর্দির জন্য ওষুধও খাওয়ানো হয় তাকে। তারপর শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই তার জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। একপর্যায়ে ভোররাত থেকে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।

    ডাক্তার কাজল জানান, সকাল ৭টা থেকে ওই ব্যক্তির কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না তার স্ত্রী। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে সকাল ১০টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত ব্যক্তির শরীরে যেসব উপসর্গ দেখা দিয়েছিলো তা করোনাভাইরাসের উপসর্গের সঙ্গে মিললেও পরীক্ষার আগে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, যে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

    ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, তারা বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানিয়েছেন। যেসব উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা গেছেন তা অন্য রোগের ক্ষেত্রেও হতে পারে। সে কারণে তারা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির দুপুরে জানান, যেহেতু করোনার কিছু উপসর্গ মিলেছে নিহত ব্যক্তির ক্ষেত্রে, তাই শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি টিম মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করছে। পাশাপাশি সতর্কতার জন্য ওই বাড়িসহ আশপাশের ২০টি বাড়ি লকডাউন করে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের পর আইইডিসিআর নির্দেশিত বিধি মেনে নিহতের দাফন সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।