সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে ক্ষতির পরিমান ছাড়িয়েছে যেতে পারে শত কোটি টাকা

    বাংলাদেশ মেইল ::

    সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে ক্ষতির পরিমান ছাড়িয়েছে যেতে পারে শত কোটি টাকা

    করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে জাহাজভাঙ্গা শিল্প,
    করোনা ভাইরাসের স্থবিরতা নেমেছে। দেশের ভাসমান লোহার খনি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে।

    গেল কয়েকদিনের অঘোষিত লকডাউনে ক্ষতির পরিমান ছাড়িয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি।এভাবে চলতে থাকলে কাঁচামাল সংকট তৈরি হবে ইস্পাত শিল্পের
    জাহাজভাঙা সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের দাবি ব্যাংকঋণের সুদ আদায় সহজিকরণ না করলে টিকে থাকা কঠিন হবে জাহাজভাঙ্গা শিল্প মালিকদের।চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের সাগর পাড়ে গড়ে উঠা প্রাই দেড়শটি শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের বেশিরভাগই এখন বন্ধ আছে, যে কয়টি চালু আছে তাদের কার্যক্রমও ছোট করে ফেলা হয়েছে করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সঙ্কটের পাশাপাশি এর উপর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ ৬ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন জাহাজ বিচিং করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মন্ত্রণালয়।নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরো বাড়ার আশংকা রয়েছে।

    এতে বিপুর পরিমাণ ক্ষতির আসংখা করছেন সংশ্লিষ্টরা, প্রতিটা শীপ বাংলাদেশে আনতে খরচ পড়ে দেড়শ থেকে দুইশ কোটি টাকা উদ্যোক্তারা বিশাল অঙ্কের টাকার যোগান দেন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কিন্তু ঋণের সুদ আদায় ব্যাংক গুলোর ওপর সরকারের কোনো নির্দেশনা না আসায় উদ্বিগ্ন ইয়ার্ড মালিকরা।

    ইস্পাতশিল্পসহ অন্তত দশটি ছোট বড় শিল্পের কাঁচামালের প্রধান উৎস জাহাজভাঙা শিল্প বর্তমানে সবাই কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তাই সবগুলো শিল্প-কারখানা টিকিয়ে রাখতে উদ্যোগী হতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান উদ্যোক্তারা।

    গেল কয়েক বছর ধরে দেশব্যাপী চলমান মেগা প্রকল্প গুলোর কারণে ইস্পাত শিল্প জাহাজভাঙা শিল্পের মতো ভারী শিল্পকারখানা গুরুত্ব বেড়েছে কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতেই ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

    শীপ ব্রেকিং এসোসিয়েশন এর সভাপতি জনাব আবু তাহের জানান,আউটকরে প্রায় ছয়টি জাহাজ রয়েছে। এবং জাহাজ ব্লিসিং ও বন্ধ রয়েছে। নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে এই শিল্প। সরকার এবং সংশিষ্ট মন্ত্রণালয় যদি বিষয়টি না দেখে তাহলে মালিকদের পক্ষে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।