বাংলাদেশ মেইল ::
ভাটিয়ারীতে অবস্থিত বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ) হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসাবে অধিগ্রহণ করার জন্য পরিদর্শন করেছেন চট্রগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ সরকারের বেশ কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বেলা ১২টার সময় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীতে অবস্থিত বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ) ৬ তলার ১০০ শয্যার হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছেন সরকারের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তারা ঘন্টা খানেক হাসপাতালটি ঘুরে দেখে অবকাঠামোগত কোন ত্রুটি আছে কিনা সেটিও দেখেন। পরিদর্শন শেষে সকলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
করোনা আক্রান্ত হলে রোগীর চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের এই হাসপাতালটিতে ১০০টি বেড প্রস্তুত আছে। কিন্তু হাসপাতালটিতে নেই কোনও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। ফলে করোনা আক্রান্ত কোন মুমূর্ষু রোগীর আইসিইউ সেবা প্রয়োজন হলেও সেটি দেওয়া সম্ভব হবে না।
বিএসবিএ হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, বিএসবিএ বোর্ড মেম্বার নাঈম আহম্মদ শাহ, সীতাকুণ্ড থানার সার্কেল এসপি শম্পা সাহা, অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা।
বিএসবিএর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাজমুল বলেন, বিএসবিএর হাসপাতালটি সিটি মেয়রসহ সরকারের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেখে গেছেন। টেকনিক্যাল কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্তের পর জানতে পরবো হাসপাতালটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হবে কি না।
আরেফিন এন্টারপ্রাইজ শিপ ইয়ার্ডের মালিক মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন জানান,জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে এই হাসপাতালটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য নেওয়া হলে সাধারন মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।
উল্লেখ্য, গত দেড় মাস আগে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ) হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন সংসদ (চট্টগ্রাম ৪) আসনের আলহাজ্ব দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক সিভিল সার্জন।
স্থানীয় জনগণ মনে করেন হাসপাতালটি যদি করোনা রোগীদের জন্য নেওয়া হয় তাহলে এলাকার মানুষ চিকিৎসা সুবিধা পাবে । উপজেলা ভিত্তিক করোনা আক্রান্ত সংখ্যার দিক দিয়ে সীতাকুণ্ডের স্থান প্রথম । উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৭২ জন্য এবং মৃত্যু বরণ করেছে দুজন।