ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলায় উপকূলবর্তি এলাকা সতর্কতামুলক মাইকিং

    বাংলাদেশ মেইল ::

    ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলায় জনসাধারণকে সতর্ক করতে ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’র (সিপিপি) পক্ষ থেকে বরিশালসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিপিপি সদস্যদের।

    সোমবার (১৮ মে) সকাল থেকে এ মাইকিং শুরু করা হয়। সিপিপি’র উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ জানান, ঘূর্ণিঝড়ে যে কোনো ধরনের সহায়তার জন্য বরিশাল জেলায় ৬ হাজার ১৫০ জন, বরিশাল বিভাগে ২৫ হাজার ৫ জন ও উপকূলীয় এলাকার ১৩ জেলায় ৫৫ হাজার ২৬০ জন সিপিসি কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাইকিংয়ের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সাংকেতিক পতাকাও উত্তোলন করা হয়েছে।

    করোনাকালের এ সাইক্লোন মোকাবিলায় বিশেষ প্রস্তুতির কথা জানিয়ে আব্দুর রশীদ আরও বলেন, করোনার সংক্রমণ এড়াতে শেল্টার সেন্টারগুলোতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন। তা বজায় রাখতে জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

    ‘এরই মাঝে বরিশালে জেলা প্রশাসন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছে। বরিশাল জেলায় ১ হাজার ৫১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

    সোমবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বরিশালে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কোনো প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। যদিও গত দু’দিন ধরে প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। রোদের তীব্রতাও রয়েছে।