আক্রান্ত হলেন ওয়াসার এমডি
    চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের হানা সবখানে, গাণিতিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ

    বাংলাদেশ মেইল ::

    চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফয়জুল্লাহসহ অন্য এক কর্মি করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

    করোনা উপসর্গ থাকার কারনে ২৩ মে নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন ওয়াসার এমডি।শুক্রবার (২৯ মে) ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি ল্যাবের নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা পজিটিভ রোগী হিসেবে শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম ওয়াসায় আরও একজন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

    এছাড়া শিল্পগ্রুপ এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের পুত্রবধুও আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। সীতাকুণ্ড থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের কণ্যা তিনি।

    চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত ১০ জন চিকিৎসকও সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার আরো ৬ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়।

    এছাড়া করোনা হানা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতেও৷ এই ফাঁড়ির ১৬ জন সদস্যের মধ্যে ১০ জনই আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত আমাদের ১০ জন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সবাই দামপাড়া বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজন এএসআইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    করোনা শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক আইপিটিভি সি প্লাসের সিইও আলমগীর অপুর। শুক্রবার রাতে তার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

    এছাড়া আঁরা চিটাগাইঙা নামের একটি ফেইসবুক পেজের কর্মি আলী রাশেদও করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

    এপ্রিল মাসের ৩ তারিখ প্রথম করোনা শনাক্ত হয় চট্টগ্রামের দামপাড়া এলাকার এক বৃদ্ধের শরীরে। সেই থেকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রোগী ও করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৮৩ জন।  এদের মধ্যে   মৃত্যুবরণ করেছেন ৭১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী।