বাংলাদেশ মেইল ::
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমহিম খাচ্ছে ভারত সরকার। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালু করার বিভিন্ন নির্দেশনার সাথে বিমান চলাচল শুরু করতে চায় দেশটি। কিন্তু নতুন বিপত্তির মুখে সরকারের এই সিদ্ধান্ত।
করোনার পর ভারতের জন্য নতুন বিপত্তি পঙ্গপাল৷ পান্জাব, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশে পঙ্গপালের হানা আশংকার মাত্রা বাড়াচ্ছে।
ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক জানালেন বিমান উড্ডয়ন ও অবতরনে সমস্যা তৈরি করবে পঙ্গপাল৷ বিভিন্ন বিমান সংস্থার কাছে শুক্রবার এমন বার্তা দিলেন তিনি।
পঙ্গপাল তাড়াতে ভারতের রাজস্থান রাজ্যে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই প্রথম ভারতের কোনো রাজ্য পঙ্গপাল তাড়াতে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করল।
রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের চোমু তেহসিল এলাকার সামোদ গ্রামে পঙ্গপাল তাড়াতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়। এক দিন আগে পঙ্গপাল হানা দেয় এই গ্রামের কৃষিজমিতে। পরে মধ্যপ্রদেশেও পঙ্গপাল তাড়াতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।
পঙ্গপালের বিশাল এক ঝাঁক ভারত ও পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায় আক্রমণ চালিয়েছে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই। ছোট আকারের এই পোকার বিশাল ও আগ্রাসী বাহিনী ব্যাপকভাবে ফসল ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। এই পঙ্গপাল বাহিনী পশ্চিম ভারতের ৫০ হাজার হেক্টরের বেশি মরু এলাকায় ২৪টির বেশি জেলায় আক্রমণ চালিয়েছে। তাদের আক্রমণের সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাত।
প্রতিবেশি পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। তারা বলেছিল দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সেটা ছিল সবার্ধিক সংখ্যক পঙ্গপালের ঝাঁক।
এবার, ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক বিমান চলাচলে পঙ্গপাল সমস্যা তৈরি করতে পারে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনায় বলা হয়েছে অতি ক্ষুদ্র পঙ্গপাল বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি ঘটাতে পারে৷ এছাড়া আকাশে বিমানের পাইলটদের দৃস্টিসীমাকে বিঘ্ন করতে পারে পঙ্গপাল৷