অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান দীপিকা

    বাংলাদেশ মেইল:: দীপিকা পাডুকোন- বলিউডে এই সময়টায় যার একের পর এক সাফল্য। এই ব্লকবাস্টার অভিনেত্রীও এক সময় মানসিক অবসাদে ভুগেছেন।

    বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ব্যাপারে একাধিকবার জানিয়েছিলেন দীপিকা। তাই এ নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছেন তিনি। Live Love Laugh foundation নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে সেই সচেতনতার প্রচার চালান দীপিকা।

    সুশান্তের মৃত্যুতে ইনস্টাগ্রামে মানসিক স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করে দীপিকা লিখেছেন, ‘মানসিক সমস্যায় আমিও ভুগেছি। আমি জানি কথা বলাটা কতটা জরুরি। কথা বলুন। নিজেকে প্রকাশ করুন। প্রয়োজনে সাহায্য চান। মনে রাখবেন আপনি একা নন। আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। সবথেকে বড় কথা সবকিছুর শেষে যেটা থাকে, সেটা হচ্ছে-আশা।’

    তখন তিনি খ্যাতির শীর্ষে। হাতে সিনেমার অভাব নেই। হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের মেঝেতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান দীপিকা। বাড়ির পরিচারিকা এসে উদ্ধার করেন তাকে। ডাক্তারের কাছে যান তিনি। দেখা যায় তার রক্তচাপ ওঠানামা করছে। কিছুটা ক্লান্ত লাগতে শুরু করে। বেশ কিছুদিন বাড়িতে ঘুমিয়েই কাটান তিনি। কোথাও বের হতেন না, কারও সঙ্গে দেখা করতেন না।

    ব্যাক্তিগত এবং পেশাগত ক্ষেত্রে যখন তার সবথেকে বেশি খুশি থাকার কথা, সেরকম একটা সময়ে অবসাদে ভুগবেন, একথা নিজেও বিশ্বাস করতে পারেননি দীপিকা।

    পরে দীপিকা পাড়ুকন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অনেকেই ভুল ভাবনা রয়েছে যে- খ্যাতি, অর্থ থাকলে অবসাদ হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এটা আসলে একটা ক্লিনিক্যাল কন্ডিশন। এটা কারও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে না। অনেকেই এই অবসাদকে দুঃখ বলে ভুল করেন, কিন্তু এটা তা নয়’।

    মানসিক রোগ নিয়ে এখনও ভাবেন না একটা বড় অংশের মানুষ। সেই রোগ চোখে দেখা যায় না। কিন্তু একটু একটু করে একজনকে শেষ করে দেয়। শারীরিক রোগের মতই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় মানসিক অবসাদ। বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু, সেটাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।