চিকিৎসা নিয়ে তালবাহানা না করতে হুঁশিয়ারি মেয়র নাসিরের

    বাংলাদেশ মেইল ::

    চিকিৎসা নিয়ে তালবাহানা না করতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র  আ জ ম নাসির উদ্দিন।

    মেয়র বলেন, এ সভা শেষ সভা। আর কোনো অনুরোধ হবে না। এবার অ্যাকশন শুরু হবে৷ যদি কোনো রোগী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যায় বা আপনারা চিকিৎসা না দেন তবে এর পরিণাম ভালো হবে না।
    মঙ্গলবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি সগিরের মৃত্যুর ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র আ জ ম নাছির।

    মঙ্গলবার (৯ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিবের সঙ্গে জুম আপসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য কালে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউসের সঙ্গে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের সঙ্গে আলোচনাকালের পৃথক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে তালবাহানা না করতে এসব কথা বলেন মেয়র।

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে তালবাহানা না করতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ।

    চিকিৎসা না পেয়ে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের মা-বাবা বা কোনো স্বজন মারা গেলে কেমন লাগবে সেই প্রশ্নও করেন মেয়র নাছির।
    মেয়র নাছির বলেন, আপনারা তো ফ্রিতে চিকিৎসা দিবেন না। টাকা নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন৷ বেসরকারি হাসপাতাল করার জন্য লাইসেন্স নিয়েছেন কি রোগীদেরকে মেরে ফেলতে৷ কয়েকদিন ধরে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আপনারা প্রণোদনা চাইবেন কিন্তু মানুষকে সেবা দিবেন না সেটা হয় না।

    সিটি মেয়র বলেন, বারবার বলার পরও চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালগুলো রোগী নিতে টালবাহানা করছে। কোনো রোগী হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোভিড বা নন-কোভিডের সার্টিফিকেট খোঁজে। কিন্তু একজন মানুষ কিভাবে সঙ্গে সঙ্গে এই সার্টিফিকেট দিবে। অন্তত তাকে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে। এছাড়া রোগী অন্যকোনো রোগ নিয়েও ভর্তি হতে পারে। তাহলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা কেন করছেন আপনারা, প্রশ্ন করেন তিনি।

    তিনি মুখ্য সচিবকে বলেন, ‘আজকে সকালে আমাদের থানা আওয়ামী লীগের এক সেক্রেটারি স্ট্রোক করেছিলেন। তাকে তিন চারটা হাসপাতালে নেওয়া হলেও কোনও হাসপাতালেই সিট খালি নেয় এমন অজুহাতে ভর্তি করায়নি। পরে যখন পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হলো তখন চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন তিনি আর বেঁচে নেই।’