উচ্ছেদ হচ্ছেন অবৈধ স্থাপনা
    বাঁশখালীতে পাউবো’র কোটি টাকার কাজের নেই তদারকি

    জোবাইর চৌধুরী,  বাংলাদেশ মেইল ::

    চট্র্রগ্রামের বাঁশখালীর পুঁইছডি ইউনিয়নের পশ্চিম অংশে পুরো এলাকার উপর দিয়ে জলখদর (খাল) নদী বহমান | সেই খাল খনন ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজে পাউবো কতৃপক্ষের উদাসীনতা ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

    পাউবো কর্মকর্তাদের কাজের নেই কোন তদারকি। যার ফলে ঠিকাদার ইচ্ছে মাফিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।  তাছাডা কাজের তদারককারীর দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের লোকজনের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে অবৈধ স্থাপনা দখলকারীদের সাথে আঁতাতের অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা।

    শিডিউল না মেনে স্বাভাবিক বেড়িবাঁধে না থেকে ভিন্ন দিকে মোর ঘুরিয়ে দেয়ার অভিযোগও তুলেছেন খোদ ওই এলাকার মানুষজন | নির্মাণ কাজের সর্বত্র নদীর ভিতরে নির্মিত অবৈধ স্থাপনাগুলো অপসারণ না করে যত্রতত্র ভাবে বেঁড়িবাধের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে |

    আজ সোমবার ( ২২ জুন) এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুঁইছডির সরলিয়া বাজারের উত্তরে ও দক্ষিন পাশে চলমান ভেডিবাধের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিন অংশে স্বাভাবিক বেঁড়িবাধের উপর মাটি ফেলছে ঠিকাদারের লোকজন | তবে আফইজজ্যা বাপের বাডির সংলগ্ন এলাকায় এসে স্বাভাবিক বেড়িবাঁধের মোর ঘুরিয়ে দিয়ে ৩০০/৪০০ মিটার বাঁক করে মাটি ফেলছে তারা।

    এবিষয়ে জানতে এলাকার মানুষজনকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি বাহিনীর তাবেদার ও সক্রিয় রাজাকার ছিলেন আহমদ শফি।

    যুদ্ধের পর তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের দলনেতা বাঁশখালীর সাবেক সাংসদ প্রয়াত এডভোকেট সোলতানুল কবীর চৌধুরীর বাহিনীর হাতে প্রান হারায় সে৷ সেই রাজাকার পুত্রদ্বয়ের যোগসাজশে ঠিকাদার স্বাভাবিক বেঁড়িবাধে মাটি না ফেলে তাদের বসতবাড়ির সীমানা প্রাচীর রক্ষা করতে মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে কাজ চালাচ্ছেন। এঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে | একইভাবে বাজারের উত্তর অংশে নদীর ভিতরের ( পোল্ডার) নির্মিত একাধিক অবৈধ স্থাপনাগুলোও অপসারণ না করে আঁকাবাঁকা মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে বেড়িবাঁধের উপর মাটি ফেলে যাচ্ছে | তবে ওই এলাকায় বিশাল এলাকাজুড়ে নদী দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ অনেক আগেই করে ফেলেছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটটি|

    সবমিলিয়ে সাডে ১২ কোটি টাকার কাজ চলছে ব্যাপক অনিয়মের মধ্যে দিয়ে।  অনিয়মের প্রতিকার পেতে এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর দফতর, দুদক ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাছাডা এ বিষয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা৷
    এব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালীব সাদলী বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। বিষয়টি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হবে।
    এবিষয়ে জানতে পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ায় পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে | ঠিকাদার কে শিডিউল মেনে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে | অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে কাজ করতে ঠিকাদারকে বলা হয়ছে। তাছাডা বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজে অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না বলেও তিনি জানান|