নাইম আহমেদ, বাংলাদেশ মেইল ::
সীতাকুণ্ডে একেরপর এক চুরি- ডাকাতির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এবার ডাকাতের কবলে পড়েছে দুই ভারতীয় নাগরিক ও তাদের পরিবার।
থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ২টার সময় বিএসআরএম কারখানার দুই ভারতীয় প্রকৌশলী পরিবারসহ দেশে যাওয়া উদেশ্যে নগরীর খুলশীর বাসা থেকে বের হয়ে ঢাকা বিমান বন্দরে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকায় আসা মাত্রই তাদের বহনকারী গাড়িকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাত দল থামিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
দুই ভারতীয় পরিবারের সঙ্গে থাকা পাসপোর্ট, নগদ টাকা, ইন্ডিয়ান রুপি, উএস ডলার, স্বর্ণালংকার, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, আঁধার কার্ড, ভোটার আইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, লেপটপ, মোবাইল সেটসহ সব কিছু নিয়ে যায়। দুই ভারতীয় নাগরিক ও তাদের পরিবার সবকিছু হারানোর পর তারা দেশে না গিয়ে তাদের খুলশী বাসায় ফিরে আসে। তারা বিষয়টি তাদের বিএসআএম কতৃপক্ষকে জানায় । বিএসআরএম কতৃপক্ষ সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করেন। আটককৃত আসামিদের মধ্যে দুই জন ডাকাতির ঘটানায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে মঙ্গলবার জবানবন্দী দেয়েছেন আদালতে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানা ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, আমরা অক্লান্ত পরিশ্রমে ডাকাত দলের নেতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই, এবং তাদের নিকট হতে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।
আটক তিন জন হলেন মান্দারীটোলা গ্রামের মোতাহার হোসেনের পুত্র সাজ্জাত হোসেন ইমন। তিনি উত্তর জেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের বর্তমান কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন। তার অপর দুই সহযোগী হলেন বাড়কুন্ড দারালিয়া পাড়ার পাড়ার আবুল কাশেমের পুত্র জামাল উদ্দিন। মান্দরীটোলা এলাকার আলাউদ্দিন এর পুত্র নোমান।
উত্তর জেলা মুক্তিযোদ্ধ মঞ্চ এর সাধারণ সম্পাদক জানান, এ বিষয়ে উপজেলা থেকে কোনো ধরনের তথ্য আমাদেরকে এখনো পর্যন্ত জানানো হয়নি।বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত আমাদের যা করার তা করা হবে।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন দল ক্ষমতায় থাকায় জামাত-বিএনপি থেকে কিছু বহিরাগত নিজেদের ফায়দা লুটার জন্য আমাদের দলের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে গিয়ে বিভিন্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে। পরে নিজেদের কে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হিসেবে দাবি করে আসলে তাদের সাথে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এইসব বহিরাগতদের বিরুদ্ধে উপজেলা ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মীর সজাগ রয়েছে এবং ভবিষ্যতে যেন কোন বহিরাগত যেন দলে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।