জাহাঙ্গীর আলমের মানবিক উদ্দ্যেগ
    হাটহাজারীর মেখল আইসোলেশন সেন্টার চালু হচ্ছে শুক্রবার

    বাংলাদেশ মেইল ::

    চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা এখন শুধু করোনার ঝুঁকির রেডজোনই নয়, জেলার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগী এ উপজেলায়। আক্রান্ত রোগীদের সিংহভাগই নিজের ঘরে আইসোলেশনে রয়েছেন।

    নিম্ম ও মধ্যবিত্ত মানুষের যখন আইসোলেশনে থাকা কস্টকর হচ্ছে তখনই উপজেলার মেখল এলাকায় প্রথম আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুতের কাজ করছেন মানবতাবাদী সমাজকর্মি জাহাঙ্গীর আলম। আগামী শুক্রবার (১৯ জুন)  এই আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গেছে।

    মেখলের কৃতি সন্তান ডাক্তার আবু তৈয়ব ও আরো কয়েকজন ডাক্তারদের নিয়ে একটি টিম গঠন করে ইউনিয়ন এর সর্বস্তরের জনসাধারণ কে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্যই এই সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে । যার নাম দেয়া হয়েছে  “মেখল মানবিক আইসোলেশন সেন্টার”।

    ইতিমধ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছাতে শুরু করেছে।  বৈশ্বিক মহামারী করোনার ক্রান্তিকালে রোগের প্রকোপ ছড়িয়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষ যখন চিকিৎসা সেবা নিয়ে চিন্তিত ঠিক সেই মুহূর্তে সাধারন মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মেখলের কৃতি সন্তান জাহাঙ্গীর আলম।

    জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘ করোনার প্রভাব আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি হাটহাজারীতেও দেখা দিয়েছে। ফলে দেশবাসীর সাথে সাথে আতংকগ্রস্থ অবস্থায় আছে হাটহাজারীর সাধারন মানুষ । এছাড়াও  করোনা ভাইরাস থেকে দেশের মানুষকে যারা রক্ষা করবে সেই চিকিৎসক; সরকারী কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদস্যরা আজ অরক্ষিত। তারা করোনা আক্রান্ত হলে পৃথক কোন আইসোলেশন কিংবা কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা নেই। এতে করে চিকিৎসক-নার্স, সরকারী কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদস্যরাও আতংকগ্রস্থ অবস্থায় আছে। সব মানুষের কথা ভেবেই মেখলে এই আইসোলেশন সেন্টার তৈরির উদ্দ্যেগ নিয়েছি।  ‘

    শ্বাসকষ্টসহ জরুরি স্বাস্থ্য সেবার সব ব্যবস্থা থাকছে এ আইসোলেশন সেন্টারে। চিকিৎসক ও অক্সিজেন সুবিধাসহ এই আইসোলেশন সেন্টার চালু হলে হাটহাজারীর স্থানীয় মানুষ আইসোলেশনে থাকার সুযোগের পাশাপাশি   জরুরী চিকিৎসা সুবিধা এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।