নির্দেশনা মানা ছাড়াই পুরোনো চেহেরায় ফিরেছে চট্টগ্রাম

বাংলাদেশ মেইল ::

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিএমপির দেয়া নির্দেশনা মানা ছাড়াই চিরচেনা যানজটের শহর এখন চট্টগ্রাম৷ সোমবার সকাল থেকেই নগরীর প্রতিটি সড়কে বাসা, সিএনজি অটোর মতো গণপরিবহন রাস্তায় নেমেছে৷

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, ইপিজেড, মুরাদপুর, অক্সিজেন, বহদ্দারহাটসহ নগরী ব্যস্ততম এলাকাগুলো যানবাহন চলাচলের পুরোনা চিত্রই চোখে ধরা পড়েছে৷ যদিও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সাথে গণপরিবহন মালিকদের বৈঠকে ১৬ শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছিল গণপরিবহন চালু করার জন্য। কিন্তু সেসব শর্ত পরিবহনগুলো যেমন মানছে না, তেমনিভাবে পুলিশের কোন তৎপরতাও চোখে পড়েনি নগর জুড়ে৷

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ চট্টগ্রাম মহানগরীতে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে মানতে হবে ১৬ দফা নির্দেশনা।গত  শনিবার দুপুর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে গণপরিবহন মালিক পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। সেই বৈঠক থেকে নির্দেশনা  আসে। এসব নির্দেশনা অমান্য করা হলে ট্রাফিক পুলিশ সংশ্লিষ্ট গণপরিবহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

গণপরিবহনে আগের মতো গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা যাবে না। এ ছাড়া মানতে হবে ১৬টি নির্দেশনা।

সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিটি গাড়ি জীবাণুমুক্ত করা, সম্ভব হলে যাত্রী নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীনাণুনাশক ছিটানো, গাড়িতে হ্যান্ডসানিটাইজার রাখা, চালক-হেলপার ও যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক, ঠাণ্ডা, জ্বর, সর্দি কাশির লক্ষণ আছে এমন চালক-হেলপারদের দায়িত্বপালন থেকে বিরত রাখা, গাড়ির দরজা বন্ধ রাখা, গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পূর্বে হ্যান্ড মাইকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করা, গাড়িতে দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন না করা, গাড়ির অভ্যন্তরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, বাস স্ট্যান্ড ব্যতিত অন্যকোথায় বাস না থামানো, হুড়োহুড়ি করে যাত্রী না উঠানো, ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলা, গাড়ির ডকুমেন্ট আপডেট রাখা, অবৈধ গাড়ি গ্রাম অটোরিকশা ও ব্যাটারি রিকশা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা, দিন শেষে প্রত্যেক গাড়িতে আবশ্যিকভাবে জীবাণুনাশক ছিটানো, সরকারি আদেশ মেনে চলা ইত্যাদি।

গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ছোট বড় সব প্রতিষ্ঠানই নিয়মিত কার্যক্রম শুরু করেছে গতকাল থেকেই।  কিন্তু নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার উপর নয়, গণপরিবহনের উপর ভর করেই চলছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান।

নগরীর বিভিন্ন সড়কে অপেক্ষারত যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,  গাড়ির ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ইচ্ছামাফিক। কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বিগুন-তিন গুন বেড়েছে বাস ভাড়া৷ শহর এলাকাসহ বিভিন্ন রুটের বাসে যাত্রী সংখ্যাও আগের মতো। সুরক্ষা বা শারীরিক দুরত্বের কথা জিজ্ঞেস করতেই বাসার হেলপার হাসি ঠাট্টা করছেন -এমন দৃশ্যও চোখে পড়েছে৷

দুপুর থেকে যানজটের কবলে পড়েছে নগরীর নিউমার্কেট, জুবলী রোড়,  আগ্রাবাদ, মুরাদপুর এলাকা। এ যেন পুরোনো চট্টগ্রামই আবার ফিরেছে দু মাস লকডাউনের পর।