বাংলাদেশ মেইল ::
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এবারের হজযাত্রা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার সৌদি আরবেও। এ পর্যন্ত আক্রান্তের ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ওমরাহ ও ভিজিট ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেশটির সরকার। গত ৫ মার্চ মক্কার বাইরের লোকদেরও ওমরা পালন ও মসজিদে নববীতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় তাওয়াফ, সাফা- মারওয়ায় সায়ি। যদিও দুই মাস বন্ধ থাকার পর বিধি নিষেধ জারি করে মসজিদ খুলে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু হজের সময় ঘনিয়ে এলেও বাংলাদেশের মানুষ এবার হজ করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি। সরকার আশা করছে, শিগগিরই সৌদি সরকার তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। এদিকে ৫০ হাজারের বেশি হজ যাত্রী নিবন্ধন শেষ করে যাওয়ার অপেক্ষায়।
এ প্রসঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও হজ ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম আমীন উল্লাহ নূরী জানান, সৌদি আরব সরকারের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে রেখেছি। এরইমধ্যে যাত্রীদের নিবন্ধন শেষ। আমরা আশা করছি, শিগগিরই আমাদের হজ যাত্রার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন সৌদি আরব সরকার।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার হজ নিবন্ধনের তারিখ কয়েক দফা সময় বৃদ্ধির পরেও সরকারি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মাত্র ৬৫ হাজার ৫১২ জন নিবন্ধন করেছেন। যদিও এবার হজে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে পারবেন ১৭ হাজার ১৯৮ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার জন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে হজযাত্রী নিবন্ধনের সংখ্যা কম। অন্যদিকে সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত না পাওয়া ও এর কারণ।
হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘হজ যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া আছে। বর্তমানে সারা বিশ্বের যে পরিস্থিতি তাতে এবার হজ পালন করা যাবে কি না সে বিষয়ে একমাত্র সৌদি আরবের সরকারই বলতে পারবেন। তবে হজ অনুষ্ঠিত না হলে তাদের বেসরকারিভাবে যে ক্ষতি হবে তাতে হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে। ছোট ছোট এজেন্সি ভবিষ্যতে এ ক্ষতি কাটিয়ে ব্যবসা ঠিক রাখা কঠিন হয়ে যাবে।’
এবার চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩০ জুলাই (৯ জিলহজ) হজ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু হজ্বের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সৌদি সরকার।