বাংলাদেশ মেইল ::
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৯৩২ সালে আধুনিক সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো হজ বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা করছে সৌদি আরব। সোমবার দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সৌদি আরব ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকে এই বছর হজ্বের অনুমতি দিবে না সৌদি আরব। নিজ দেশের কিছু মানুষকে হজ্ব করতে অনুমতি দিবে ।
খুবই সীমিত পরিসরে এবাবের হজ পালন করবে সৌদিআরব । অন্যান্য দেশের জন্য এবারের হজের অনুমতি দেয়া হচ্ছেনা৷
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ হজ প্রতি বছর পালন করা হয়। এবার চাঁদ দেখার ভিত্তিতে জুলাই মাসের শেষের দিকে হজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিবছর হজে অংশগ্রহণ করতে বিশ্বের প্রায় ২০ লাখ মানুষ সৌদি আরব গমন করেন। কিন্তু মহামারিতে টোকিও অলিম্পিক গেমসের মতো আয়োজন পেছানো বা বাতিল করার ফলে হজ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণে সৌদি কর্মকর্তাদের ওপর চাপ বাড়ছে।
এবারের হজ নিয়ে যে দুটি পদক্ষেপ বিবেচনা করা হচ্ছিল সেগুলোর মধ্যে একটি হলো– কঠোর স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে সীমিত সংখ্যায় স্থানীয়দের হজ পালনের অনুমতি দেওয়া। আরেকটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ হলো– সারা বিশ্বের মুসলমানদের এ বছরের হজ একেবারেই বাতিল করা। সৌদি কর্মকর্তা বলেন, সব প্রস্তাবই বিবেচনায় ছিল। তবে দ্বিতীয় প্রস্তাবই মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয় হাজিদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকেই অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ।