চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মারামারি
    চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা,আন্দোলন ও প্রতিরোধের ঘোষণা বিএমএর

    বাংলাদেশ মেইল :: 

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে মারামারির ঘটনায় ১১ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখা। মামলা প্রত্যাহার না হলে ‘আন্দোলন ও প্রতিরোধের’ ঘোষণা দিয়েছে বিএমএ।

    বৃহস্পতিবার বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. রবিউল করিমের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১২ জুলাই সকাল ১০টায় চমেক হাসপাতালে সদ্য পাস করা ইন্টার্ন ডাক্তারদের একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, যাতে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান। সকালে আয়োজকরা জানতে পারেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে চমেক হাসপাতালে যাবেন। তখন অনুষ্ঠানটি পিছিয়ে দুপুর ১২টায় করা হয়। উপমন্ত্রী হাসপাতালে যাবার পর চমেক ছাত্র সংসদের নেতারা মতবিনিময়ও করেন।

    কিন্তু কর্মসূচি শেষে উপমন্ত্রী হাসপাতাল পরই উপস্থিত চিকিৎসক, ইন্টার্ন ডাক্তার ও চমেক ছাত্র সংসদের নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে দাবি করে বিএমএ বলেছে, এর সঙ্গে একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী জড়িত। পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এই হামলা ঘটনা ঘটিয়েছে।

    বিএমএ’র দাবি হামলার পর একাধিক চিকিৎসক ও চমেক ছাত্র সংসদের নেতাদের নামে একটি মামলা করা হয়েছে, যা মিথ্যা, হাস্যকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। চিকিৎসক সমাজের ঐক্য নষ্ট করতে এই মামলা করা হয়েছে বলে দাবি বিএমএর।

    বিএমএ এই মামলা প্রত্যাহার করে হামলায় জড়িত বহিরাগতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গেল রোববার (১২ জুলাই) সকালে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণের জন্য যান স্থানীয় সাংসদ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। কর্মসূচি শেষে তিনি হাসপাতাল ত্যাগের পর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও নওফেলের অনুসারী চমেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে দুই পুলিশসহ অন্তঃত ১৯ জন আহত হয়।