জাপানের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮

    বাংলাদেশ মেইল :: 

    একটানা বৃষ্টিতে জাপানে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। দক্ষিণ জাপানের অবস্থা খারাপ ছিলই। এবার দেশের উত্তর-পূর্ব অংশেও টানা বৃষ্টিপাত বাড়ছে। বৃষ্টির জেরে ফুলেফেঁপে উঠেছে বিভিন্ন নদী। জলের তলায় ঘরবাড়ি, দোকানপাট, রাস্তাঘাট। বৃষ্টির পাশাপাশি কাদা ধসেও বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। বুধবার সকাল পর্যন্ত জাপানজুড়ে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতেরা বেশিরভাগই কুমামোটার বাসিন্দা। ফুকুশিমা শহরেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। এখনও নিখোঁজ অনেক মানুষ।
    দক্ষিণ জাপানের কুমামোটা ও কাগোশিমা অঞ্চলের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। কাগোশিমায় ধসের জেরে একটি পিকআপ ট্রাক সমুদ্রে পড়ে যায়। চালককে উদ্ধার করা হলেও মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন। ওইটা শহরে একটি বাড়িকে কার্যত গিলে ফেলে কাদাধস। বাড়ি থেকে বছর ৮০-র দুই সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে। শৈল শহর টাকাইয়ামাও পুরোপুরি বিপর্যস্ত। কাদাধসে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন অবশ্য ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির বাসিন্দাদের উদ্ধার করেছে।
    বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে চিকুগো নদী। দুকুল ছাপিয়ে জলবহুল এলাকার মধ্যে দিয়ে প্রবল স্রোতে বইছে। জলের তোড়ে মিশে গিয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। রাস্তাগুলো খরস্রোতা নদীর চেহারা নিয়েছে। চিকুগো হল কিউসুর সবচেয়ে বড় নদী। দ্বীপটির মধ্যে চিকুগো এখন বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। কিউসু-র বন্যা পরিস্থিতি মাথায় রেখে সেখানে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে প্রশাসন। অনেক এলাকা থেকেই দুর্গতদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরগুলিতে রাখা হয়েছে। তবে সেখানেও রয়েছে করোনার আতঙ্ক। তাই দূরত্ববিধি মেনেই দুর্গতদের রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যার জন্য খুব বেশি মানুষকে উদ্ধার করে একটা ত্রাণ শিবিরে রাখা যাচ্ছে না।