তামাকের বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবি ইপসা’র

    বাংলাদেশ মেইল :: 

    পানি, চকলেটের সাথে সিগারেটের মূল্যস্তরের তুলনা রেখে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ‘অপপ্রচারে’ নেমেছে তামাক কোম্পানিগুলো। এমনকি অনেক জায়গায় তামাকদ্রব্যকে বীরের সাথেও তুলনা করেছে কোম্পানিগুলো।

    করোনা মহামারীর এ সময়কে তোয়াক্কা না করেই জাতীয় বাজেট ঘোষণার পর থেকে নগরীর অধিকাংশ এলাকায় তামাক কোম্পানিগুলো এই ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছে। যার বিরুপ প্রভাব পড়ছে শিশু ও তরুণদের উপর। ২০০৫ সালে প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ৫নং ধারা অনুযায়ী, তামাকের বিজ্ঞাপন ও প্রচার, প্রচারণা, পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ। আইন লঙ্ঘণে কারাদ- বা অর্থদ-ের বিধানও রয়েছে। অনতিবিলম্বে তামাকদ্রব্যের এসব প্রচারণা বন্ধ করতে হবে।

    বুধবার (২৯ জুলাই) এক প্রেস বিবৃতিতে এই দাবি জানায় স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা।

    ইপসার উপ পরিচালক নাছিম বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, তামাকপন্য সেবনে বিশ্বে প্রতিবছর ৮০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। লাভ ধরে রাখতে তাই তামাক কোম্পানিগুলোকে প্রতিনিয়ত নতুন ক্রেতা সৃষ্টি করতে হয়। আর এক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বড় টার্গেট তরুন প্রজন্ম। তামাক কোম্পানিগুলো প্রতিবছর বিজ্ঞাপন ও বিপণনের জন্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় করে। প্রতিবছর বাজেট ঘোষণার পর তামাক কোম্পানিগুলো এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করে। তামাকদ্রব্যের দাম বাড়েনি এটা বুঝাতে তারা একেক বছর একেক ধরনের করে বিজ্ঞাপনে নামে যা আইনগতভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

    তিনি বলেন, শুধু তামাকদ্রব্যের বিক্রয়স্থলেই নয়, বিশ্বজুড়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে তামাক কোম্পানিগুলো। শিশু-কিশোরদের টার্গেট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তামাক কোম্পানির বিভিন্ন প্রচারণা ২৫ বিলিয়ন বার প্রত্যক্ষ হয়েছে। এই জাতীয় প্রচারণা শিশু-কিশোরদের জন্য মৃত্যুফাঁদ তৈরি করছে।

    বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরুর পর মে মাসে চট্টগ্রামের পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হতে শুরু করে। জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরে মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করে প্রতিদিনই। স্যান ফ্র্যানসিসকোর ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা জানিয়েছেন, অধূমপায়ীদের তুলনায় করোনা ভাইরাসের ধূমপায়ীদের আক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি। মহামারী শুরুর পর থেকেই ‘ডব্লিউ এইচ ও’ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা ধূমপান ও তামাক সেবন থেকে বিরত থাকবার পরামর্শ দিয়ে আসছে। অথচ এই ধরনের একটি সময়েও তরুন প্রজন্মকে তামাকের দিকে আকর্ষণ করবার জন্য তামাক কোম্পানিগুলো এসব হীন অপপ্রচারে নেমেছে। তামাকদ্রব্যের সকল ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের কাছে দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।