বাংলাদেশ মেইল ::
করোনা ঝুঁকির কারনে চট্টগ্রামের চকবাজার ওয়ার্ডকে রেড জোন তালিকাভুক্ত করা হলেও কোন ধরনের সামাজিক দুরত্ব ও সরকারী নির্দেশনা মানছে না খোলা থাকা হোটেল রেস্টুরেন্টগুলো।
সোমবার রাত নয়টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টে কোন ধরনের সামাজিক দুরত্ব রক্ষা না করে স্বাভাবিকভাবে টেবিলে বসে গল্পোগুজবে ব্যস্ত কাস্টমাররা। রেস্টুরেন্টের সামনে পুলিশের ভ্যান দাঁড়ানো থাকলেও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নি।
তবে পাশ্ববর্তি একটি হোটেল থেকে মুছা নামের এক কর্মচারীকে পুলিশের ভ্যানে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়। সোয়া আটটার দিকে কুটুমবাড়ির পাশ্ববর্তী ঝাল বিতান নামের মাঝারী মানের হোটেলটি বন্ধ রেখে ভেতরে কাজ করছিল একজন কর্মচারী। এ কারনে তালা খুলে এই কর্মচারীকে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিতে দেখা যায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের। অথচ ঠিক পাশের কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট খোলা রয়েছে। ভেতরে কাস্টমার ভর্তি থাকলেও কোন ধরনের সামাজিক দুরত্ব রক্ষার কোন আয়োজন চোখে পড়েনি।
জানতে চাইলে কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ইমাম হোসেন জানান, প্রতিদিন রাত দশটা পর্যন্ত খোলা থাকে এই রেস্টুরেন্টটি।
জানা যায়, চকবাজার এলাকার অধিকাংশই রেস্টুরেন্ট লকডাউনের কারনে বন্ধ থাকলেও পুলিশকে ম্যানেজ করেই রাত দশটা অবধি খোলাই থাকছে কলেজ রোড়ের সাদিয়া’স কিচেন, কাপাসগোলা রোড়ের কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট, গোলজার মোড়ের ওরিয়েন্ট রেস্টুরেন্ট।
জানতে চাইলে জোনের সহকারী কমিশনার রাইসুল ইসলাম জানান, রাত দশটা পর্যন্ত কোন রেস্তোরাঁ বা হোটেল খোলা থাকার কোন নির্দেশনা নেই । সাতটার পরই সব রেস্টুরেন্ট বন্ধ করার নিয়ম রয়েছে। তবে কেউ নির্দেশনা না মেনে দীর্ঘসময় রেস্টুরেন্ট খোলা রাখলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একই এলাকার সাদিয়া’স কিচেন রাত নয়টারও খোলা দেখা যায় ৷ জানতে চাইলে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ জানান, ধুয়ামোছার কাজ শেষ করতে সময় লাগছে। তবে টেবিলে বসা কাস্টমার সম্পর্কে কোন উত্তর নেই কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয়দের অভিযোগ চকবাজার এলাকার অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকলেও কয়েকটি রেস্টুরেন্ট পুলিশের সহযোগিতায় রাত অবধি খোলা রাখছে লকডাউনের শুরু থেকে।
গত ১৪ জুন স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাইডলাইন অনুসারে রেড জোন বা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যেভাবে কাজ চলবে সে সম্পর্কে নীতিমালা তৈরি করে। নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবল হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে। কিন্তু নগরীর চকবাজার এলাকায় চালু থাকা রেস্টুরেন্টগুলো নির্দেশনার কোন তোয়াক্কা না করে টেবিলে বসিয়ে কাস্টমারকে খাবার সার্ভ করছে। রাত দশটা অবধি রেস্টুরেন্ট খোলা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোন নজরদারি না থাকায় রেডজোন চিহ্নিত এলাকায় করোনা ঝুুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।