পাহাড়তলীর ঝর্ণাপাড়ায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে যুবক নিহত

    বাংলাদেশ মেইল ::

    ডবলমুরিং মডেল থানাধীন পাহাড়তলী ঝর্ণাপাড়া জোড় ডেবার পূর্ব পাড়ে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে  জসিম উদ্দিন রাজু(৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে।

    জসিম উদ্দিন শিশু হত্যা মামলার আসামী বলে জানিয়ে পুলিশ।  তার বিরুদ্ধে  খুনসহ অস্ত্র, একাধিক ছিনতাই মামলা রয়েছে।

    নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এএএম হুমায়ুন কবির জানান, শিশু মেহবার হত্যার আসামী মোঃ জসিম উদ্দিন রাজু(৩২)কে গ্রেফতার করতে পশ্চিম ঝর্ণাপাড়াস্থ জোড় ডেবার পূর্ব পাড়ে অভিযানে যায়  পুলিশ। অভিযানে  এডিসি(পশ্চিম) ও ওসি’সহ ৫ পুলিশসদস্য  আহত হয় । ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র,  গুলি, শিশু হত্যার কাজে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক ফোল্ডিং টিপ ছোরা ও ৮৭৫ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    ডবল মুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  সদীপ কুমার দাশ জানান,  গত ৭ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মেহরাব নামে তিন বছরের  এক শিশুকে জবাই করে হত্যা করে তার চাচা জসিম উদ্দিন রাজু। এ ব্যাপারে নিহত শিশুর মা নিলু আক্তার থানায় মামলা দায়ের করেন।  ঘটনার পরপরই আসামী পালিয়ে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝর্নাপাড়াস্থ জোড় ডেবা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ।  মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক  ৩.৩০ মিনিটের দিকে  ঘটনাস্থলে পুলিশ  উপস্থিত হইলে আসামী মোঃ জসিম উদ্দিন রাজু(৩২) ও তার অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে। অভিযানরত পুলিশ সদস্যরা নিজেদের জীবন রক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে আসামী মোঃ জসিম উদ্দিন রাজু(৩২) আহত হয়। মোঃ জসিম উদ্দিন রাজু’র  সহযোগীরা পুলিশি প্রতিরোধে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

    আহত অবস্থায় আসামী মোঃ জসিম উদ্দিন রাজুকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাস্থল হইতে ১টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র(এলজি), ৫ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি বিদেশী ফোল্ডিং টিপ ছোরাসহ ৮৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

    চমেক হাসপাতালে আসামীকে নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার  বুধবার (৮ জুলাই) ভোর ৫ টার সময় তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

    গোলাগুলির ঘটনায় এডিসি(পশ্চিম)  এএএম হুমায়ুন কবির (পিপিএম-সেবা), অফিসার ইনচার্জ সদীপ কুমার দাশ (পিপিএম বার), ইন্সপেক্টর (তদন্ত)  মোহাম্মদ জহির হোসেন(পিপিএম-সেবা), এসআই অর্নব বড়ুয়া, এসআই মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আহত হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

    আসামী কর্তৃক হত্যাকৃত  শিশু মেহেরাব(৩) এবং হত্যাকারীর মোঃ জসিম উদ্দিন রাজু (শিশুটির চাচা) – দুজনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।