নোটিশের জবাব দিতে এসে
    বান্দরবান সদর থানার ওসিসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার আদালতে অপেশাদার আচরণ

    বাংলাদেশ মেইল ::

    কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে এসে আদালতে অপেশাদার আচরণ করেছেন বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ চার পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের আচরণে আদালত বিস্ময় ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

    গেল ১০ই জুলাই বান্দরবান জেলা জজ কোর্টের কর্মচারী মেহ্লা অং মারমা ভার্চুয়াল আদালতের চলমান কার্যক্রমে সহায়তার জন্য বিচারকের বাসায় যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সেই ঘটনায় এই চার পুলশি কর্মকর্তাকে ১৫ দিনের মধ্যে স্বশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। কিন্তু অভিযুক্তরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন ব্যাখ্যা প্রদান করেননি।

    গেল ২২ জুলাই ৩ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য পুনরায় নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। আজ আদালতের দেয়া সময়ের শেষ দিন ছিল। সকাল ১০ টায় আদালত মামলার কার্যক্রম শুরু করলেও শোকজকৃত এই চার পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেননা। পরে আদালত দুপুর ২টায় মামলার আদেশের জন্য সময় নির্ধারণ করেন। মধ্যাহ্নভোজের পর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুজাহিদুর রহমান এজলাসে বসার আগে শোকজকৃত কর্মকর্তারা আদালতে এসে উপস্থিত হয় এবং হাজিরা দাখিল করেন। এরপর বিচারক এজলাসে বসেন এবং মামলাটি আদেশের জন্য ডাক পড়ে। এসময় উক্ত চার কর্মকর্তা আইনজীবীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে নির্বিকার ভাবে বসে থাকেন। তারা আদালতকে নূন্যতম সম্মান প্রদর্শনের চেষ্টা করেছেন তা তাদের আচরণে বুঝা যায়নি। এরূপ অপেশাদার আচরণের ব্যাপারে কোর্ট ইনসপেক্টরকে ব্যাখ্যা তলব করলে তিনি আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভুল হয়েছে র্মমে জানান।

    তবে তিনি এটাও বলেন যে, উক্ত কর্মকর্তাগণ হয়ত আদালতের ডাক শুনতে পায়নি। কিন্তু এ যুক্তিতে আদালতকে সন্তুষ্ট করা যায়নি। তাদের বসা অবস্থায় দেখে আদালত বলেছেন তারা কোর্টের প্রতি যথাযত সম্মান প্রদর্শন করেননি। অগ্রহণ যোগ্য আচরণ করেছেন। এতে আদালত বিস্ময় এবং বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। এসময় আদালত তাদের সর্তক করে বলেছেন ভবিষ্যতে এধরণের অপেশাদার আচরণ করলে কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরে তাদের শোকজকৃত মামলায় তারা মৌখিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আদালত লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করতে বলেন। আগামী ১৭ই আগস্ট মামলার আদেশের জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত। শোকজকৃত কর্মকর্তারা হলেন, বান্দরবান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার এস আই বিপুল চন্দ্র রায়, ডিউটি অফিসার এস আই মুজিবুর রহমান এবং এস আই প্রণব কান্তি দাশ।