হলুদ টি-শার্টে বিশেষ টুলে বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত নগরীতে বসবে হকার

     

    চট্টগ্রাম নগরীতে সুশৃংখল ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় এনে হকারদের আয়-রুজির পথ নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

    হকারদের সাথে আলোচনায় সর্বসম্মতভাবে যে সিদ্ধান্তগুলো গৃহিত হয়েছে তা মেনে চলার জন্য চসিক প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

    তিনি জানান, সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন বিকেল ৩ টা থেকে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত হকাররা ব্যবসা পরিচালনা করবেন। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম পর্যায়ে স্টেশন রোড ও আগ্রাবাদে নির্ধারিত জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হকাররা বসতে পারবেন। তাদের জন্য হলুদ রঙের মার্ক করা চিহ্নিত স্থানে শুধুমাত্র বসার টুল ছাড়া অন্য কোন স্থাপনা থাকবে না এবং এখন থেকে সড়কের এক পাশেই তারা ব্যবসা করতে পারবেন। হকারদের খেয়াল রাখতে হবে নগরবাসীর হাঁটা চলা এবং যানবাহন চলাচলে যাতে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, হকার উচ্ছেদ নয়, পূনর্বাসন করাইটাই হলো একটি সামাজিক দায়িত্ব । তাই হকাররা যে সকল হলুদ মার্ক করা স্থানে বসবেন। সেখানে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও বাতি লাগানোর দায়িত্ব পালন করবে সিটি কর্পোরেশন। এছাড়া হকারদের জন্য নির্ধারিত ব্যাচ ও ইউনিফর্মও নির্দ্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এই ইউনিফর্ম ছাড়া কোন হকার রাস্তায় বসতে পারবেন না। তিনি উল্লেখ করেন যে, হকার নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে যে সিদ্ধান্তগুলো গৃহিত হয়েছে, তা যদি মেনে চলা হয় তাহলে এই সুশৃংখল ব্যবস্থাপনার সুফল তারাই পাবেন। সিদ্ধান্ত পালনে যেন ব্যতয় না ঘটে সেজন্য হকার নেতৃবৃন্দকে তিনি সতর্ক বার্তা দেন। তিনি বলেন, অনেক সময় ফুটপাত অরক্ষিত থাকায় পথচারী ও নগরবাসী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে ও নগরবাসীকে সিগ্ধ, নির্মল ও দুর্গন্ধমুক্ত সকাল উপহার দেয়ার জন্য চসিকের গৃহিত পদক্ষেপ সমূহ বাস্তবায়নে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন চসিক প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। তিনি বলেন নদী, সাগর ও পাহাড়ের মেলবন্ধনে চট্টগ্রাম নগরীর যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য রয়েছে, তা ফিরিয়ে আনা হবে।