শিক্ষক ও অভিভাবকের সমম্বয় পাঠোন্নতির গুরুত্বপূর্ণ শর্ত : রেজাউল করিম চৌধুরী

    বাংলাদেশ মেইল ::  

    শিক্ষালয়, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এর সম্মিলন পাঠোন্নতির একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত বলে উল্লেখ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও চসিক মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য এ মন্তব্য করেন।

    প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরো বলেন, একজন শিক্ষার্থীর পাঠ গ্রহণের উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই জ্ঞান অর্জন, অর্থাৎ জ্ঞাত হওয়া বা প্রকৃষ্টরূপে জানা। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সহজে জানার কৌশল শেখাবেন, পাঠ দান করবেন এবং যথাযথ অনুসরনের জন্য তদারকি করবেন। সে হিসেবে বলা যায়, শিক্ষকই একজন শিক্ষার্থীর প্রধানতম অভিভাবক। কিন্তু, বিদ্যালয় বা শিক্ষায়তনের বাইরেও শেখার অনেক কিছুই থেকে যায়। এখানে পিতা, মাতা, ভাই, বোন কিংবা অগ্রজ কাউকে অভিভাবকের দায়িত্ব নিতে হয়। বিশেষত শিশু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পারিবারিক অভিভাবকের ভূমিকা অগ্রগন্য।

    একজন শিশু সহজেই পিতা, মাতা কিংবা পরিবারের বড়দের অনুকরন ও অনুসরন করে থাকে। আরো যদি চিন্তা করে দেখি, তাহলে দেখব-শিশুরা মায়ের দ্বারা বেশী প্রভাবিত হয়। এটি প্রাকৃতিক একটি ব্যাপার। তাছাড়া ভ্রুন থেকে ভূমিষ্ট হওয়া, ভূমিষ্ট হওয়া থেকে বেড়ে ওঠার সময়টাতে শিশুরা মায়ের সাহচর্য বেশী লাভ করে এবং সহজে মায়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাই একজন মাতা ও পারিবারিক অভিভাবকের সহযোগিতা পেলে শিক্ষার্থীকে উপযুক্ত বিদ্যা আয়ত্ব করানোর ক্ষেত্রে একজন শিক্ষকের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তাই আমরা আমাদের ছোট বেলায় দেখতাম শিক্ষক ও অভিভাবকের মধ্যে একটা নিবিঢ়তম যোগাযোগ বিদ্যমান থাকত।

    শহুরে পরিবেশে এটা কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে, অস্বীকার করা যায় না। তবে অভিভাবকরা চাইলে এটাকে সহজ করতে পারেন, বিদ্যালয়ে এসে খবরা খবর নিতে পারেন। শিক্ষকদের পরামর্শ অনুযায়ী সন্তানদের পরিচালনা করতে পারেন। এতে করে সন্তানেরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করে একজন আদর্শ নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারবে। পড়, পড়, শিখ, শিখ না বলে পাঠ্য বিষয়কে গল্পাকারে শিক্ষার্থীর কাছে তুলে ধরতে পারলে পাঠের বিষয়টি তার কাছে সহজবোধ্য হয়। পড় এবং জানো এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। জানার আগ্রহ সকল মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। জানার এ আগ্রহকে আগে জাগিয়ে তুলতে হবে। জানার আগ্রহ জাগ্রত থাকলে সে অবশ্যই পড়বে এবং শিখবে, এটা আমি বিশ্বাস করি।

    শিক্ষিকা লাকী দেবী’র সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মঈনুদ্দিন এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, পশ্চিম বাকলিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী নাওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর আলী আকাশ, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুর রহমান, বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস, তসলিমা জান্নাত, হাসিনা বেগম, অভিভাবক শামীমা আক্তার, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, সরওয়ার উদ্দিন, সরওয়ার আলম, ফরিদুল আলম, হাজী জাহাঙ্গীর, জাহাঙ্গীর আলম রানা, আক্কাস আলী প্রমুখ।