মসজিদে বিস্ফোরণ: ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার আদেশ স্থগিত

    বাংলাদেশমেইল: নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ৩৭ ব্যক্তির পরিবারকে আপাতত জরুরি প্রয়োজন মেটাতে পাঁচ লাখ টাকা করে দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত। একই সঙ্গে আগামী ১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে করা আবদেনরে ওপর আপিল বিভাগরে নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির দিন ঠিক করছেন।

    হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ আদেশ দেন।

    তিতাস গ্যাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন তৈমুর আলম খন্দকার।

    আদেশের পরে ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান বলেন, ‘আমরা শুধু হাইকোর্টের অন্তর্র্বতীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করি। এতে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার আদেশের অংশ স্থগিত চেয়েছিলাম। আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। ’

    এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার আদেশ দিয়ে রুল জারি করেছিলেন। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ টাকা দেওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ৩৭টি পরিবারের কাছে এ টাকা বিতরণ করবেন। রুলে দগ্ধ ও নিহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। গত সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রিট আবেদনটি দায়ের করেন নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার।

    প্রসঙ্গত, এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন ৩৭ জন মুসল্লি। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। দগ্ধ ৩৭ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর ১২ শতাংশ দগ্ধ মামুন নামে এক রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।