ডিএনসিসিতে আরো সাত শতাধিক সাইনবোর্ড উচ্ছেদ

    বাংলাদেশ মেইল ::

    ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আরো সাত শতাধিক অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসব সাইনবোর্ড ও অন্যান্য মালামাল স্পট নিলামের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা বিক্রয় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গুলশান, বনানী ও প্রগতি সরণিতে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    এ সময় ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা করা, ট্রেড লাইসেন্স না থাকা, সরকারি কাজে বাধা প্রদান করা এবং অন্যান্য অপরাধে ১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উচ্ছেদ চলাকালে গুলশান ১ নম্বর গোলচত্বরে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম পরিদর্শন করেন।

    তিনি বলেন, যত্রতত্রভাবে যারা বড় বড় সাইনবোর্ড, বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা করছেন, কিন্তু সিটি করপোরেশনের পাওনা ট্যাক্স তারা দিচ্ছেন না, এধরনের বিলবোর্ড একশতভাগ অবৈধ। আমরা এ বিলবোর্ডের পারমিশন দিই নাই। যারা এধরনের বিলবোর্ড লাগাচ্ছেন, তাদেরকে সাবধান করে বলছি- এগুলো অবৈধ।

    এগুলোকে কোনমতেই আমরা পারমিশন দিবো না। তাই আমি বলেছি, এগুলোকে সব উচ্ছেদ করতে, অপসারণ করতে। এখান থেকে প্রাপ্ত মালামালগুলো স্পট নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করে দিতে বলেছি। আমরা মানুষকে দেখাতে চাই, যারা বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড লাগাবেন, তারা আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশনকে ট্যাক্স দিয়ে তারপর লাগাবেন।

    সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, তারা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছে। আপনারা দেখেছেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এখানে ব্যবসা করছে, কিভাবে তারা এ কাজটি করে? এরকম অনেক আছে। আমি বলতে চাই, আপনারা যারা এখানে ব্যবসা করছেন, উত্তর সিটি করপোরেশনের গুলশানে লাইসেন্স নিয়ে গুলশানে ব্যবসা করতে হবে, মোহাম্মদপুরের লাইসেন্স নিয়ে গুলশানে ব্যবসা করা যাবে না। আবার লাইসেন্সে গুলশানের ঠিকানা দেয়া থাকলে গুলশানেই ব্যবসা করতে হবে।

    মেয়র বলেন, আমি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, এটা গুলশান ১ নম্বর, গত পরশুদিন ছিলাম গুলশান ২ নম্বর। এখানে সবাই ব্যবসা করছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মাল্টিন্যাশনাল করপোরেশন, সবাই ব্যবসা করছে। যাকেই জিজ্ঞাসা করি, সে বলে আমরা জানি না। কিন্তু ট্রেড লাইসেন্সের মধ্যেই পরিষ্কার করে এইসব বিষয়ে লেখা আছে। আপনার সাইনবোর্ড এর মাপ কত, আপনার ট্যাক্স কত, সবকিছু পরিষ্কারভাবে লেখা আছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্য আমাদের। আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে। ফুটপাত ও রাস্তায় অবৈধভাবে রাখা নির্মাণসামগ্রীর নিলামও অব্যাহত থাকবে। আসুন একটি সুন্দর ঢাকা শহর গড়ি। পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির অন্যান্য জায়গায়ও এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে বলে তিনি জানান।