বাংলাদেশ মেইল :: শিক্ষা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর প্রেসক্লাব এর বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহাম্মেদ ইমুর সভাপতিত্বে ও সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. অনুপম সেন এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।
তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকদের শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ নাম না জানা সেই আত্মত্যাগীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে ড. অনুপম সেন বলেন, ১৯৬২ সালের আন্দোলন ছিল প্রথম ও একমাত্র ছাত্র আন্দোলন, যা জাতীয়ভাবে সমগ্র ছাত্রসমাজকে আলোড়িত করেছিল এবং দেশের সুদূর প্রাসঙ্গিক পর্যন্ত সর্বস্তরের ছাত্রছাত্রীরা ওই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল।
শিক্ষাব্যবস্থাকে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত করার দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল বৈষম্যমূলক ও সাম্প্রদায়িক শিক্ষাব্যবস্থার বিপরীতে একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন, যার মূল বিষয় ছিল শিক্ষাব্যবস্থায় যে বিভক্তি রয়েছে তা দূর করে একমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন ও শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য, দুর্নীতি বন্ধ, বৈষম্য দূর করা প্রভৃতি। সুতরাং সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথ থেকে যদি আমরা সরে দাঁড়াই- তবে বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন ও শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে। আমাদের উচিত আন্দোলনের সেই লক্ষ্য -উদ্দেশ্যগুলোকে অনুভব করে শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করা।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে রেজাউল করিম বলেন, ১৯৬২ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তান সরকারের শরীফ শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও প্রগতিশীল
ছাত্রসংগঠনগুলো গর্জে উঠেছিল। বুকের তাজা রক্ত রাজপথে বিলিয়ে দিয়ে দাবী তুলেছিল একটি বৈষম্যহীন, গণমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার। অর্ধশতাধিক বছরের ছাত্র সংগ্রামের ফসল হিসাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলার ছাত্রসমাজকে উপহার দিয়েছেন এক ও অভিন্ন নীতি সম্বলিত জাতীয় শিক্ষা নীতিমালা।
সমাপনি বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহাম্মেদ ইমু বলেন, ছাত্রলীগের ভালো ফলাফল করা ছাত্রদের চাকরীর নিশ্চয়তা, বৈষম্যহীন খেলার মাঠ এবং শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননের বিকাশে মাঠসহ স্কুল কলেজ গড়ে তুলতে হবে নচেৎ বর্তমান প্রজন্ম ভুল পথের চোরাবালিতে হারিয়ে যাবে।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, সহ-সভাপতি- তালেব আলী, একরামুল হক রাসেল, নাঈম রণি, নোমান চৌধুরী, ইয়াছিন আরাফাত কচি, জয়নাল উদ্দীন জাহেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক- খোরশেদ আলম মানিক, আমির হামজা, গণশিক্ষা সম্পাদক- ওসমান গনি বাপ্পী, ত্রান ও দূর্যোগ সম্পাদক- আবুল মনসুর টিটু, উপ-সম্পাদক- শফিকুল আলম, আদনান, সহ-সম্পাদক- কায়ছার মোঃ রাজু, সহ-সম্পাদক- শুভ ঘোষ, সদস্য- শেখর দাস, মিজানুর রহমান, আরাফাত রুবেল, পতেঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিব হাসান সেতু, আকবর শাহ্ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি- জুয়েল সিদ্দিকী, ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সভাপতি- রাকিব হায়দার, চাঁন্দগাও থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক- শহীদুল আলম শহীদ, বন্দর থানার সাধারণ সম্পাদক- নুরুজ্জ্বামান বাবু, আকবর শাহ্ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক- সৈয়দ তৌহিদ, দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক- তানজীব চৌধুরী ত্বনয়, মহসীন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা- মিজানুর রহমান, কাজী নাঈম, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগ নেতা- ফখরুল ইসলাম রুবেল, আলভী, সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা- আকবর হোসেন রাজন, আবদুল হাবীব বাপ্পী, অভি শীল প্রমুখ।