ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: ছাত্রলীগের ৬ জনকে খুঁজছে পুলিশ

    বাংলাদেশমেইল: সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগের চারনেতাসহ ৬ জনকে খুঁজছে পুলিশ। ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও কারো হদিস মেলেনি। তবে গতরাতে ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের সাইফুরের কক্ষ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

    ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে, কলেজের সামনে সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

    ২০০৯ সালে ছাত্রলীগের এমসি কলেজ কমিটি ঘোষণার পর আর কোনো কমিটি হয়নি। কিন্তু ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। পদপদবী ছাড়াও একেক জন ক্যাডারে পরিণত হয়ে চাঁদাবাজি, খুন, গুম, রাহাজানি এবং সর্বশেষ শুক্রবার ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসা এক তরুণীকে তুলে নিয়ে ছাত্রবাসে গণধর্ষণ করে।

    এই ঘটনার পর পুলিশ ছাত্রলীগের সাইফুর রহমানের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

    গণধর্ষণের ঘটনা সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে রবিউল, তারেক আহমদ, শাহ রনি, মাহফুজুর রহমান মাসুম, অর্জুন লস্করসহ আরো অজ্ঞাত তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতার স্বামী।

    এসএমপি শাহপরান থানা ওসি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, ‘নির্যাতিতার স্বামী মামলা করেছে। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

    ধর্ষকদের ছাত্রত্ব বাতিলসহ গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও সড়ক অবরোধ করে। এদিকে, ধর্ষকদের ছাত্রত্ব বাতিলের ব্যাপার পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সালেহ আহমদ।

    ২০১২ সালে ছাত্রলীগ এমসি কলেজের ছাত্রবাসের একটি ব্লক আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিলো।